আর্মব্যান্ড নিয়ে ফিফার নির্দেশনা মানবেন না হ্যারি কেইনরা

ইংল্যান্ড দলছবি: এএফপি

অধিনায়কের বাহুবন্ধনী বা আর্মব্যান্ড নিয়ে ফিফার সঙ্গে বিরোধে জড়াতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস। ফিফার নির্দেশনা না মেনে নিজেদের মতো করে বাহুবন্ধনী নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল দুটি।

সমকামী-বিদ্বেষ ও বিদেশি শ্রমিকদের দুর্দশা নিয়ে কাতারের সমালোচনায় মুখর ইউরোপীয় দেশগুলো। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন, ওয়েলস অধিনায়ক গ্যারেথ বেলসহ সাতটি দলের অধিনায়কের ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামার কথা।

তবে বিপত্তিটা বাধে বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে অধিনায়কেরা কী বাহুবন্ধনী পরবেন, সেটি ফিফা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পর। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে ফিফা নতুন বার্তাসংবলিত আর্মব্যান্ড চালু করলেও ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে না ইংল্যান্ড ও ওয়েলস। ইংলিশ এফএর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র দ্য ইনডিপেনডেন্টকে জানিয়েছে ফিফার নির্দেশনা মানবে না ইংল্যান্ড।

শনিবার ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্মব্যান্ডের মাধ্যমে বিশ্বকাপজুড়েই জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে সামাজিক প্রচারণা করা হবে। প্রতিটি রাউন্ডের জন্য থাকছে আলাদা প্রচারণা। যেমন কোয়ার্টার ফাইনালে প্রচারণার থিম হবে ‘নো ডিসক্রিমিনেশন’ (বৈষম্য নয়)।

ওয়েলসও আর্মব্যান্ড পড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরছে না
ছবি: এএফপি

গত মাসেই ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরার জন্য ফিফার কাছে অনুমতি চেয়েছিল ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এফএর নির্বাহী মার্ক বুলিংহাম তখনই বলছিলেন, হাতে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরার জন্য প্রয়োজনে জরিমানাও দিতে রাজি ইংল্যান্ড।

কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবাদে ডেনমার্ক প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিল তাদের ম্যাচের পোশাককে। সম্পূর্ণ কালো জার্সি ও প্যান্ট পরে বিশ্বকাপে মাঠে নামার কথা ছিল ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনদের। তবে ডেনমার্ককে সে অনুমতি দেয়নি ফিফা।

মধ্যপ্রাচ্যে হওয়া এ বিশ্বকাপ নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। আয়োজক হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি। এমনকি অনেক সাবেক ফুটবলারও বয়কট করেছেন এ বিশ্বকাপ। তবে সব বিতর্ককে পাশ কাটিয়ে আগামীকাল কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ।

বিশ্বকাপের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ধুয়ে দিয়েছেন সমালোচকদের, ‘ইউরোপ আর পশ্চিমা বিশ্ব এখন অনেক কিছু শেখায়। গত ৩ হাজার বছর ইউরোপিয়ানরা বিশ্বজুড়ে যা করেছে, তাতে মানুষকে নীতিকথা শোনানোর আগে আগামী ৩ হাজার বছর তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’