জোতা স্পেনে কী করছিলেন
দিয়োগো জোতা খেলেন ইংল্যান্ডের ক্লাব লিভারপুলে। তাঁর বাড়ি পর্তুগালে। গতকাল তিনি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন স্পেনের জামোরা প্রদেশে। প্রশ্ন উঠতে পারে, তিনি স্পেনে কেন গিয়েছিলেন? মৌসুম শেষে অনেক ফুটবলারই ছুটি কাটাতে স্পেনের বিভিন্ন অবকাশযাপন কেন্দ্রে যান। লিভারপুলের পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোতা অবশ্য ছুটি কাটাতে স্পেনে যাননি।
মৌসুম শেষ করে জোতা পর্তুগালে জন্মভূমি পোর্তোতে ফিরেছিলেন। সেখানেই তিনি শৈশবের প্রেমিকা রুত কার্দোসোকে বিয়ে করেন। স্ত্রী আর তিন সন্তানকে রেখে বিয়ের পর লিভারপুলের প্রাক্-মৌসুম প্রস্তুতিতে ফেরার জন্য স্পেনে গিয়েছিলেন জোতা।
ইংল্যান্ডে ফেরার জন্য কেন জোতাকে স্পেনে যেতে হলো, এই প্রশ্নও জাগতে পারে। বিবিসির খবর অনুযায়ী, কিছুদিন আগে জোতার ছোট একটা অস্ত্রোপচার হয়েছিল। চিকিৎসক তাঁকে আকাশপথে যাতায়াত করতে না বলে দিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি ইংল্যান্ড থেকে পোর্তো গিয়েছিলেন গাড়ি চালিয়ে। একইভাবে ইংল্যান্ডে ফিরতে চেয়েছিলেন। সিএনএন পর্তুগালের ক্রীড়া সম্পাদক রুই লরা এ নিয়ে বলেন, ‘ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং তারপর বিমাতে উঠতে তাঁকে নিষেধ করা হয়েছিল।’
সে কারণেই গাড়ি চালিয়ে দুই বছরের ছোট ভাই আন্দ্রে সিলভাকে নিয়ে জামোরা হয়ে সান্তান্দার যাচ্ছিলেন জোতা। সেখান থেকে ফেরিতে ব্রিটিশ আইলসে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ব্রিটিশ আইলস থেকে গাড়ি চালিয়ে তিনি যেতেন লন্ডনে। সোমবার লিভারপুলের প্রাক্-মৌসুম অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জোতার।
কিন্তু তা আর হলো কই! গতকাল ২৮ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ ফুটবলার স্পেনের জামোরা প্রদেশের এ-৫২ মহাসড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হন। ল্যাম্বরগিনি গাড়িটি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন। হঠাৎই ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই গাড়ির একটি চাকা। গাড়ি ছিটকে পড়ে সড়কের বাইরে। সঙ্গে সঙ্গেই আগুনও ধরে যায় গাড়িতে। বেঁচে ফিরতে পারেননি জোতা আর তাঁর ভাই।
মারা যাওয়ার ১০ দিন আগে দেড় দশকের প্রেমের সম্পর্কটাকে বিয়েতে রূপ দেন জোতা। ২৮ বছর বয়সী স্ত্রী কার্দোসো ছাড়াও মারা যাওয়ার সময় তিনি রেখে গেছেন তিন সন্তান। বড় ছেলে দিনিসের বয়স মাত্র চার বছর, মেঝ ছেলে দুরাতের বয়স দুই আর সবার ছোট মেয়ের জন্মই হয়েছে গত নভেম্বরে।