ক্লপের প্রশ্ন, জরিমানার টাকা যায় কোথায়, এফএর পকেটে না ভালো কাজে

লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপছবি: এএফপি

মনের ভেতর দলা পাকিয়ে থাকা কথাগুলো বলেই ফেলেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। রেফারির সমালোচনা করায় তাঁকে টাচলাইনে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। ক্লপের দাবি, তাঁর চেনাজানা অনেকেই নাকি প্রত্যাশা করেছিলেন, শাস্তিটা আরও বড় হবে। আর জরিমানার টাকা কোথায় যায়, সেটাও এফএর কাছে জানতে চেয়েছেন লিভারপুলের এই কোচ।

আরও পড়ুন

গত এপ্রিলে টটেনহামের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয়ের ম্যাচে রেফারি পল টিয়ের্নির দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জার্মান কোচ। তাঁকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ৭৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ২২ হাজার টাকা) জরিমানাও করে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)।

অ্যানফিল্ডে আজ অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি হবে লিভারপুল। এ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়াতে পারবেন না ক্লপ। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন। মনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সেখানেই, ‘শাস্তি যে পাব, তা জানতাম। আমি জানতে চাই (জরিমানার) টাকাটা কোথায় জমা পড়ে? যদি এটা ভালো কাজে লাগে, তাহলে আমি খুশি মনেই দেব। কিন্তু যদি এফএর ঝুলিতে জমা পড়ে, তাহলে আমাদের আবারও কথা বলতে হবে।’

শাস্তি নিয়ে চেনাজানা মানুষদের চিন্তাভাবনা কী ছিল, তা জানানোর পাশাপাশি মজাও করলেন এ জার্মান কোচ, ‘লোকে ভেবেছিল, আরও বড় শাস্তি পাব। এখন আরও ভালো জায়গা থেকে ম্যাচ দেখতে পারব এবং কোচিং স্টাফের সঙ্গেও যোগাযোগ থাকবে।’

অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচ খেলবে লিভারপুল। ক্লপকে স্ট্যান্ড থেকে ম্যাচটি দেখতে হবে। কোচিং স্টাফের সদস্য ভিতোর মাতোস ও পেপ লিন্ডার্সের সঙ্গে সেখান থেকেই যোগাযোগ করবেন ক্লপ, ‘ভিতোর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। তাঁকে হেডসেট দিয়ে ফোন করতে হবে। বদলি নামানোসহ আমরা সব বিষয়েই কথা বলব।’

আরও পড়ুন

গত নভেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ক্লপ। সে ম্যাচের স্মৃতিচারণা করে বললেন, ‘একটা মাত্র ম্যাচই (নিষেধাজ্ঞা) তো। সাউদাম্পটন ম্যাচের মতোই হবে। আরও ভালো জায়গা থেকে খেলা দেখতে পারব, সেটা অবশ্য দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলছি। তবে সাউদাম্পটন ম্যাচে কিন্তু উপকারিতা পেয়েছি। অ্যানালিস্টের পাশেই বসেছিলাম। সাহায্য পেয়েছি।’

ক্লপকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হলেও পরের ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাটি নির্ভর করছে তাঁর ভবিষ্যৎ আচরণের ওপর। এটি স্থগিত নিষেধাজ্ঞা হিসেবে থাকবে।

ডাগআউটে দাঁড়ালে খেলোয়াড়দের নানা পরামর্শ দিতে সুবিধা হতো ক্লপের। কিন্তু অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে সেখানে যেহেতু দাঁড়াতে পারবেন না, তাই পরামর্শ দিতে বিকল্প একটা পদ্ধতি তো লাগবে? ফোন ও হেডসেট দিয়ে তো আর খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না। তাহলে? ক্লপ এ নিয়েও মজা করলেন, ‘কেউ-ই আমার মতো চিৎকার করতে পারে না...আমি হয়তো দূরে থাকব, তবে খেলোয়াড়েরা ভালো না খেললে এটা ঘটতে পারে। অন্তত আমার গলাটা ঠিক আছে।’

আরও পড়ুন