প্রথমবার বিদেশি লিগে খেলতে গেলেন এশিয়া মাতানো তহুরা-শামসুন্নাহার

কদিন আগে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বল পায়ে দ্যুতি ছড়ান বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। দুজন মিলে করেন ছয় গোল। এবার তাঁরা যাচ্ছেন প্রথমবারের মতো বিদেশি লিগ মাতাতে।

আজ সকালে ঢাকা থেকে ভুটানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তহুরা ও শামসুন্নাহার। দুজনই দেশটির নারী ফুটবল লিগে রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলবেন।

‎প্রথমবারের মতো কোনো বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত তহুরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। চেষ্টা করব পারফর্ম করতে এবং লিগের অভিজ্ঞতাগুলো পরবর্তী সময়ে দেশের জন্য কাজে লাগাতে।’

তহুরা-শামসুন্নাহার যোগ দিলে ভুটানের লিগে খেলা বাংলাদেশি নারী ফুটবলারের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২। বর্তমানে থিম্পু সিটিতে খেলছেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা ও শামসুন্নাহার সিনিয়র। পারো এফসিতে সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়া। আর ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন, গোলকিপার রুপনা চাকমা ও ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী।

এই ১২ জনের বাইরে আরও তিন ফুটবলার—শিউলি আজিম, নিলুফা ইয়াসমিন ও লিপি আক্তারের সঙ্গে চুক্তি করেছে পারো এফসি। শিগগিরই তাঁরা ভুটানের লিগে খেলতে যাবেন।

বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।

এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার—সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি নারী চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রাথমিক পর্যায়ে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।