দলবদলে লা লিগা–বুন্দেসলিগা–সৌদি প্রো লিগের চেয়েও বেশি খরচ করেছে ম্যান সিটি

শীতকালীন দলবদলে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া তরুণ তুর্কি খুসানভএক্স

দলবদল শুরুর আগে থেকেই এমন কিছুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, দলের ভাগ্য বদলাতে টাকার থলে নিয়ে খেলোয়াড় কিনতে নামবে ম্যানচেস্টার সিটি। বাস্তবেও হয়েছে তা-ই। ব্যর্থতা কাটাতে জানুয়ারিতে দেদার অর্থ খরচ করেছে ইতিহাদের ক্লাবটি। এমনকি প্রিমিয়ার লিগের বাকি ১৯ দল মিলে যত খরচ করেছে, সিটির খরচ তার প্রায় কাছাকাছি।

শীতকালীন দলবদলে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো সব মিলিয়ে খরচ করেছে ৩৭ কোটি পাউন্ড। যেখানে ১৯ দলের খরচ ১৯ কোটি পাউন্ড এবং সিটির একার খরচ ১৮ কোটি পাউন্ড। শীতকালীন দলবদলে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় খরুচে দল সিটি। সবার ওপরে চেলসি।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে চেলসি খরচ করেছিল ২৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড। সামগ্রিকভাবে শীতকালীন দলবদলের মধ্যেও অবশ্য সেবারই সবচেয়ে খরচ করেছিল প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। ২০২৩ সালের শীতকালীন দলবদলে খরচ হয়েছিল রেকর্ড ৮১ কোটি ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।

আরও পড়ুন

খরচের দিক থেকে সিটি শুধু বাকি ক্লাবগুলোকেই টেক্কা দেয়নি; বরং অন্য লিগগুলোকেও পেছনে ফেলেছে। যেমন দলবদলে ফরাসি লিগের ক্লাবগুলো সবাই মিলে খরচ করেছে ১৭ কোটি পাউন্ড, যা সিটির চেয়ে এক কোটি পাউন্ড কম।

একইভাবে সৌদি লিগ ও বুন্দেসলিগার খরচ ১৪ কোটি পাউন্ড করে, যা সিটির চেয়ে ৪ কোটি পাউন্ড কম। আর লা লিগার দলগুলো তো সিটির ধারেকাছেও নেই। এবারের দলবদলে লা লিগার ক্লাবগুলো খরচ করেছে ২ কোটি পাউন্ড।

এবারের দলবদলে সিটির সবচেয়ে বেশি দাম দিয়ে কেনা খেলোয়াড় ওমর মারমুশ। ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে ৫ কোটি ৯০ লাখ পাউন্ডে এই মিসরীয় ফরোয়ার্ডকে কিনেছে সিটি। এরপর তারা দলবদল শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে নিকো গঞ্জালেসকে পোর্তো থেকে কিনেছে ৫ কোটি পাউন্ডে।

আর লাঁস থেকে আবদুলকোদির খুসানোভকে কিনতে সিটির খরচ হয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ পাউন্ড। এ ছাড়া দলবদলে ব্রাজিলের পালমেইরাস থেকে সিটি নিয়ে এসেছে ভিতর রেইসকে। তাঁর পেছনে ক্লাবটির খরচ হয়েছিল ২ কোটি ৯৬ লাখ পাউন্ড।

আরও পড়ুন

প্রিমিয়ার লিগে খরচ