মাইলফলক ছোঁয়ার রাতে মেসি ছাড়িয়েছেন রোনালদোকেও

গোল উদ্‌যাপনে মেসিছবি: রয়টার্স

আগের ম্যাচে লিঁওর বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শুনতে হয়েছিল লিওনেল মেসিকে। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এই মহাতারকার সঙ্গে এমন আচরণ মানতে পারেননি অনেকেই। থিয়েরি অঁরির মতো ফুটবলাররা পিএসজি সমর্থকদের এমন আচরণের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

এমনকি বার্সেলোনার সমর্থকদের অনেকে মেসিকে পিএসজি ছেড়ে বার্সায় ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন। ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়ো শোনার বিষয়টি নিশ্চিতভাবে মানতে পারেননি মেসিও। গতকাল রাতে সেই অপমানের জবাবও মেসি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

কিন্তু মুখে নয়, মেসি জবাবটা দিয়েছেন মাঠের খেলায়। নিসের বিপক্ষে পিএসজির ২-০ ব্যবধানের জয়ে দুটি গোলেই অবদান রেখেছেন মেসি। ২৬ মিনিটে দলের প্রথম গোলটি করেছেন। এরপর ৭৬ মিনিটে সের্হিও রামোসের গোলে করেছেন সহায়তা। আর এই দুটি গোল মেসিকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য এক উচ্চতায়। নতুন দুটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন ‘এলএম টেন’।

পিএসজির দুটি গোলেই অবদান ছিল মেসির
ছবি: রয়টার্স

ইউরোপে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড় এখন মেসি। বার্সেলোনার সাবেক এই তারকার গোলসংখ্যা এখন ৭০২। গোলগুলো মেসি করেছেন ৮৪৬ ম্যাচ খেলে। আর এই মাইলফলক স্পর্শ করার পথে তিনি একটি রেকর্ডে ছাড়িয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।

আরও পড়ুন

পর্তুগিজ মহাতারকা রোনালদোর ইউরোপের ফুটবলে গোলসংখ্যা ৭০১। গোলগুলো করতে রোনালদোকে খেলতে হয়েছে ৯৪৯ ম্যাচ। ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে চলে যাওয়ায় মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আপাতত কোনো সুযোগ নেই রোনালদোর সামনে।

আরও পড়ুন

একই রাতে মেসি আরও একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন। নিসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগপর্যন্ত ক্লাব ফুটবলে মেসির গোলে অবদানের সংখ্যা ছিল ৯৯৮। কাল নিজে গোল করে প্রথমে সেটিকে ৯৯৯ নিয়ে যাওয়ার পর রামোসকে দিয়ে এক গোল করিয়ে স্পর্শ করেছেন ১০০০ গোলে অবদান রাখার মাইলফলক। নিস ম্যাচ শেষে ক্লাবের হয়ে মেসির গোলসংখ্যা ৭০২ এবং অ্যাসিস্ট ২৯৮টি।

আরও পড়ুন