রিয়াল জিতছে মাঠে, পেরেজের লড়াই চলছে ‘বার্নাব্যু’র সঙ্গে

রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজছবি: টুইটার

আরও এক ফাইনাল। আরও এক শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। এ বছর এটি রিয়াল মাদ্রিদের চতুর্থ শিরোপা।

২০১৪ সালের পরে এই নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের ঘরে উঠল ১৭টি শিরোপা। এ সময়ে রিয়াল ফাইনাল খেলেছে ১৯ বার। যেখানে লস ব্লাঙ্কোসদের হার মাত্র দুটি ফাইনালে। দুটিই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। তাই রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল খেলে না, ফাইনাল জেতে—রিয়াল সমর্থকদের এমন দাবিই যেন জোরালো হচ্ছে। আরও জোরালোই হলো। একের পর এক ফাইনাল জিতে টনি ক্রুস, লুকা মদরিচ ও করিম বেনজেমাদের শিরোপার রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ হলো।

তবে রেকর্ড কি শুধুই ফুটবলারদের জন্য? মাঠের বাইরে বসে যিনি ‘মাস্টারস্ট্রোক’ খেলেন, সেই সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের জন্যও তো এটা একটা রেকর্ড। অবশ্য তাঁর লড়াইটা বেনজেমা, মদরিচদের সঙ্গে নয়। তাঁর লড়াইটা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সঙ্গে।

আরও পড়ুন
ফ্রাঙ্কফুর্টকে হারিয়ে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ
ছবি: রয়টার্স

রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সভাপতি সান্তিয়াগো বার্নাব্যু দে ইয়েস্তের নামেই রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু। যিনি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে। সভাপতি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৩ শিরোপা জয়ের রেকর্ডও তাঁর দখলে। ৩০টি শিরোপা নিয়ে তাঁর কাঁধে নিশ্বাস ফেলছেন পেরেজ।

শিরোপার সংখ্যায় বার্নাব্যুকে ছোঁয়ার সুযোগ থাকলেও লিগ শিরোপা জয়ের হিসাবে বার্নাব্যুকে ছোঁয়া অনেকটাই অসম্ভব পেরেজের জন্য। বার্নাব্যুর অধীনে রিয়াল শিরোপা জিতেছে ১৬ বার, অন্যদিকে পেরেজের অধীনে দুই মেয়াদে রিয়ালের শিরোপা মাত্র ৬টি (যদিও বার্নাব্যুর সময়ে চ্যাম্পিয়নস লিগকে বলা হতো ইউরোপিয়ান লিগ)।

আরও পড়ুন

তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে বার্নাব্যুকে ছাড়িয়ে যেতেই পারেন পেরেজ। কারণ, রিয়ালের সেরা এই দুই সভাপতির ঘরেই রয়েছে ৬টি করে শিরোপা।

একের পর এক কোচ বরখাস্তের দায়, স্বেচ্ছাচারিতা, ইচ্ছেমতো খেলোয়াড় কেনা—এমন অনেক অভিযোগই আছে পেরেজের নামে। কিন্তু দিন শেষে মাঠে ও মাঠের বাইরে রিয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্সই বলে দেয় রিয়াল সম্ভবত ভুল পথে নেই। আর সে জন্যই তাঁর সঙ্গে তুলনা হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যু দে ইয়েস্তের। রিয়াল মাদ্রিদ যেভাবে একের পর এক শিরোপা ঘরে তুলছে, তাতে শিরোপার সংখ্যায় বার্নাব্যুকে ছাড়িয়ে যাওয়া পেরজের জন্য খুব বেশি দূরের পথ নয়।