মেসির বার্সেলোনার কার্ড রেকর্ড ১৮ কোটি টাকায় বিক্রি
আবারও বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন লিওনেল মেসি। না, এবার মাঠের কোনো কীর্তিতে নয়, ভিন্ন এক কারণে রেকর্ডে জড়িয়েছে মেসির নাম।
সম্প্রতি মেসির রুকি কার্ড (একজন খেলোয়াড়ের প্রথম অফিশিয়াল ট্রেডিং কার্ড) বিক্রি হলো ১৫ লাখ ডলারে, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এটি এখন ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ফুটবল কার্ড।
২০০৪-০৫ প্যানিনি ‘মেগা ক্র্যাকস’ পিএসএ ১০ হলো বার্সেলোনায় মেসির অভিষেক মৌসুমের অফিশিয়াল কার্ড, যা অত্যন্ত দুর্লভ এবং নিখুঁত অবস্থায় থাকার কারণে সংগ্রাহকদের কাছে বেশ মূল্যবান। কার্ডটি বিক্রি হয়েছে ফ্যানাটিকস কালেক্টের নতুন ব্যক্তিগত লেনদেন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এর আগে এই সপ্তাহে ‘গোল্ডিন অকশন’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান একই ধরনের আরেকটি কার্ড ১১ লাখ ডলারে (১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা) বিক্রি করেছিল।
ফুটবল কার্ডের ক্ষেত্রে আগের রেকর্ডটি ছিল পেলের। ২০২২ সালে পেলের ১৯৫৮ সালের ‘আলিফাবোলাগেট’ (১৯৫০-৬০-এর দশকে সুইডেনে প্রকাশিত একটি স্টিকার ও ট্রেডিং কার্ড কোম্পানি/সিরিজ) কার্ডটি বিক্রি হয়েছিল ১৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারে (বর্তমানে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা)।
মেসির রুকি কার্ডের দাম সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত বেড়েছে। আগস্টে জাতীয় স্পোর্টস কালেক্টরস কনভেনশনে আরেকটি পিএসএ ১০ (পিএসএ হলো একটি বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান, যা কার্ডের মান ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গ্রেড করে। ১০ মানে কার্ডটি প্রায় নিখুঁত) গ্রেডের কার্ড ১ মিলিয়ন ডলারে (১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছিল।
মেসির এই নতুন রেকর্ড ফ্যানাটিকস কালেক্টেরের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানটি গত আগস্টে নিজেদের প্রথম পূর্ণ মাসে প্রায় ৮০ লাখ ডলারের জিনিস বিক্রি করেছে, যা হয়েছে মূলত ৩০–৪০টি লেনদেনের মাধ্যমে।
ফ্যানাটিকসের সহসভাপতি কেভিন লেনান বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এমন অনেকগুলো কার্ড এবং ক্রেতার নেটওয়ার্ক আছে, যাঁদের সঙ্গে আমরা কাজ করতে পারি। এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। এ কারণেই আমরা আমাদের প্রথম পূর্ণ মাসেই ৮০ লাখ ডলার বিক্রি করতে পেরেছি।’
লেনান নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, এই নেটওয়ার্কের একটি বড় লক্ষ্য হলো, যাঁরা নিলামে হেরে যায়, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করা। তাঁর মতে, অনেক সংগ্রাহক নিলাম চান না, তাঁরা ব্যক্তিগত লেনদেনকে বেশি পছন্দ করেন। ফ্যানাটিকস তাঁদের জন্য সহজ পথ তৈরি করতে চায়।
লেনান আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের উদ্দেশ্য হলো মানুষ যেসব কার্ডের খোঁজ করে, তাঁদের কাছে সেগুলো সরবরাহ করা। আমরা চাই সংগ্রাহকেরা যেন যেকোনো উপায়ে তাঁদের পছন্দের কার্ড পেতে পারেন। ব্যক্তিগত লেনদেন সেটারই একটি উপায়।’