‘রোবট’ হলান্ডকে ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করতে পিটিশন!

ম্যনচেস্টার সিটি তারকা আর্লিং হলান্ডছবি: এএফপি

সাইবর্গ। ল্যাবরেটরিতে তৈরি। অ্যান্ড্রয়েড। রক্তমাংসের মানুষ নয়, রোবট!

আর্লিং হলান্ডকে নিয়ে ওপরের কথাগুলো। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকের আগেই তাঁকে ঘিরে এসব কথা বলেছেন অনেকেই। আর অভিষেকের পর কথাগুলো সত্যি হচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে বাকিদের চেয়ে একজন খেলোয়াড় যদি বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে থাকেন—আর সেই ব্যবধানটাও অস্বাভাবিক—তবে সেটি ম্যানচেস্টার সিটির এই স্ট্রাইকার।

আরও পড়ুন

৮ ম্যাচে এরই মধ্যে ১৪ গোল হয়ে গেছে হলান্ডের। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১২ ম্যাচে ১৯ গোল। আছে একাধিক হ্যাটট্রিক, সিটির ঘরের মাঠেই টানা তিন হ্যাটট্রিক! প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেইনের সঙ্গে ৭ গোল ব্যবধানে এগিয়ে হলান্ড। এত অল্প সময়ের মধ্যেই হলান্ড রেকর্ড ভাঙতে ভাঙতে যেভাবে এগোচ্ছেন, তাতে ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকবে কে জানে! ঠিক এ কারণেই সম্ভবত ইংল্যান্ডের নাগরিকেরা হলান্ডকে সহ্য করতে পারছেন না। এত ভালো যে ভালো নয়!

হলান্ডের বিরুদ্ধে করা পিটিশন
ছবি: টুইটার

কথাটা আসলে মজা করে বলা। আর কাজটা মজা করেই করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এক সমর্থক হলান্ডকে শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল থেকেই বহিষ্কারের জন্য অনলাইনে পিটিশন দায়ের করে সই সংগ্রহ করেছেন।

প্রাথমিকভাবে ১ লাখ সই সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু সাড়া মিলেছে প্রত্যাশারও বেশি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, পিটিশনে সইয়ের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখের কাছাকাছি!

আরও পড়ুন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত রোববার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হলান্ড হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়ার পর এ পিটিশন তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘আর্লিং হলান্ডকে অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল থেকে নিষিদ্ধের জন্য এই লিখিত আবেদন। কারণ, এটা অন্যায্য।’ এর ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়, হলান্ড ‘রোবট’।

পিটিশনে আরও বলা হয়, ‘এটা অন্যায্য। আমরা এটা পাল্টাতে পারি। এ নিয়ে আমাদের কিছু একটা করতে হবে। আমাদের দেশে এই রোবটকে খেলতে দেওয়া উচিত হবে না।’ অনলাইনে পিটিশন করার জন্য বিশেষ সাইট চেঞ্জ ডট অর্গ ডটকমে এই প্রচারণা চালানো হয়।

গোল করার পর হলান্ড। দৃশ্যটা নিয়মিত হয়ে উঠছে
ছবি: এএফপি

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ জানিয়েছে, এই পিটিশন নাকি পরে তুলেও নেওয়া হয়েছে। তবে এই পিটিশন যদি আইনি নথি হিসেবে গৃহীত হতো, তাহলে বিষয়টি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে যুক্তিতর্ক হতো বলে জানিয়েছে এএস। এই পিটিশন আসলে হলান্ডের ফুটবলীয় সামর্থ্যেরই একরকম প্রশংসাপত্র। নরওয়েজিয়ান তারকা গোল করার সামর্থ্যে বাকিদের চেয়ে বিস্তর ব্যবধানে এগিয়ে বলেই এমনটা করা হয়েছে।