মেসিকে বার্সেলোনার ‘সেরা’ মানেন না এই ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি

মেসিই কি বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা তারকাছবি: টুইটার

বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় কে? এই প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগ ফুটবলপ্রেমীই চোখ বন্ধ করে বলে দেবেন লিওনেল মেসির নাম। তবে ক্যাম্প ন্যুতে অতীতে ইয়োহান ক্রুইফ, রোনালদো নাজারিও, রোনালদিনিও, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, রোমারিওদের মতো অনেক তারকাই খেলেছেন। কিন্তু মেসির অবস্থানটা চ্যালেঞ্জহীন থেকে গেছে। বড় বড় তারকাও মেসিকেই বার্সেলোনার সেরা তারকা হিসেবে মেনে নিয়েছেন বিনা বাক্য ব্যয়ে।

তবে ১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী তারকা রোমারিও মেসিকে সবকিছু মিলিয়ে বার্সার সেরা মেনে নিতে নারাজ। তিনি নিজেকে বার্সেলোনার ইতিহাসের অন্যতম সেরা মনে করেন। নিজের পজিশনে নিজেকেই শ্রেষ্ঠ মনে করেন রোমারিও।

বার্সেলোনার ইতিহাসে মেসির অবস্থানটা অবিসংবাদিত
ছবি: টুইটার

‘মুন্দো দেপোর্তিভো’র মাধ্যমে ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোমারিও বলেছেন, ‘মেসি দারুণ খেলোয়াড়। তবে আমার সঙ্গে মেসির কিছুটা পার্থক্য আছে। আমরা ভিন্ন পজিশনের খেলোয়াড়। আমি মনে করি মেসি তাঁর জায়গায় সেরা। আমি সেরা আমার জায়গায়।’

রোমারিও ও মেসি দুজনেই বার্সায় ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলেছেন। তবে এর মধ্যেও কিছুটা পার্থক্য আছে। মেসি মূলত বার্সার প্লেমেকার ছিলেন। এর পাশাপাশি গোলও করেছেন। রোমারিওর মূল কাজ ছিল গোল করা অর্থাৎ অ্যাটাকিং থার্ডে স্ট্রাইকার হিসেবেই তাঁকে বেশি দেখা গেছে। তবে বার্সার ইতিহাসে মেসিই সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২টি অফিশিয়াল গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। রোমারিও বার্সার হয়ে খেলেছেন দুই মৌসুম (১৯৯৩–৯৪ ও ১৯৯৪–৯৫)। এই দুই মৌসুমে ৬৫ ম্যাচে ৩৯ গোল করেছেন।

বার্সার হয়ে দেড় মৌসুমেই বাজিমাত করেছিলেন রোমারিও।
ছবি: এএফপি

১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় খেলেছিলেন রোমারিও। ক্যাম্প ন্যুর ক্লাবটির হয়ে একবার লিগ (১৯৯৪) জিতেছেন। তবে বার্সেলোনায় তিনি মেয়াদ দীর্ঘ করতে পারেননি। সে সময়ের কোচ, আরেক ফুটবল কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইয়ের সঙ্গে তাঁর বনেনি। এরপর তিনি নাম লেখান ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতে। লা লিগা শিরোপা জয়ের বছর ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বল’ জেতার পাশাপাশি জিতেছেন ফিফার বিশ্বসেরা ফুটবলারের খেতাবও। বার্সায় ১৭ মৌসুম কাটানো মেসি ১০ বার জিতেছেন লা লিগা, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন ৪ বার ও ব্যক্তিগত সেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন ৭ বার।