সাফ অ–২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ
ফিরেই সাগরিকার গোল, ‘ফাইনালে’ প্রথমার্ধে ১–০ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা
নেপাল ম্যাচে লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন মোসাম্মত সাগরিকা। আজ একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ফিরেই গোল করেছেন এই ফরোয়ার্ড। তাতে সাফ অনূর্ধ্ব ২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথমার্ধে নেপালের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
কিংস অ্যারেনায় আজ নেপালের বিপক্ষে প্রথম একাদশে চার ফরোয়ার্ড নবীরণ খাতুন, উমেলা মারমা, মোসাম্মত সাগরিকা ও পূজা দাসকে নিয়ে একাদশ সাজান বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। মাঝমাঠে বরাবরের মতো আস্থা রাখা হয় মুনকি আক্তার ও স্বপ্না রানীর ওপর। দুজনের সঙ্গে শান্তি মার্ডি এবং ঐশী খাতুনকেও রেখেছেন খেলা তৈরির জন্য। মাঠের লড়াইয়েও সেই ছাপ স্পষ্ট দেখা যায় প্রথম ১০ মিনিটে।
এই সময়ে আশা জাগানিয়া চারটি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। যার একটি থেকে আসে সফলতা। সাত মিনিটে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন সাগরিকা। মাঝমাঠে বলের দখলটা নিজেদের মধ্যে রেখে গুছিয়ে আক্রমণ করে বাংলাদেশ। পূজা দাসের বাড়ানো বল নেপালের গোলমুখে বাড়ান স্বপ্না। আর সেই বল ধরে দারুণ প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ান সাগরিকা। তিন ম্যাচে যেটা তাঁর পঞ্চম গোল।
এর ঠিক ১২ মিনিট পর ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি নেপাল। গোলকিপার মিলি আক্তারের হাত ফসকে বের হওয়া বলে শট নেন পূর্ণিমা রাই। কিন্তু সেই শট রুখে দেন বেরসিক গোলপোস্ট। পোস্ট থেকে ফিরে আসা বলে হেড নেন নেপালের আরেক ফুটবলার। এবার আর মিস করেননি মিলি, সেই হেড সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন বাংলাদেশ গোলকিপার।
এক গোলের লিড নেওয়া বাংলাদেশ প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত একটু ধীরস্থির হয়ে লড়ে যায়। নেপালও চেষ্টা করে গোল শোধ করতে। কিন্তু বাংলাদেশের চৌকস রক্ষণের কারণে তাদের সেই আশা আর পূরণ হয়নি৷ উল্টো ৪৪ মিনিটে আরও একবার নেপালের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেন সাগরিকা।
ম্যাচ শুরুর আগে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন দুই দলের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফরা।