পেনাল্টি নষ্ট করে পুঁচকে মায়োর্কার কাছে হেরে গেল রিয়াল মাদ্রিদ

দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে আক্রমণের গতি বাড়াতে সহায়তা করেন মদরিচ, তবে গোল পায়নি রিয়ালএএফপি

করিম বেনজেমা খেলতে পারছেন না, এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। ম্যাচ শুরুর আগে গা–গরম করতে গিয়ে চোটে ছিটকে গেলেন থিবো কোর্তায়াও। আক্রমণ আর রক্ষণভাগের প্রধান দুই অস্ত্রকে ছাড়া খেলতে নেমে রিয়াল মাদ্রিদ ভুগল চরম মাত্রায়। শুরুতেই গোল হজম করলেন বদলি গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন, জায়গামতো থাকলে যেটি হয়তো প্রতিহতও করতে পারতেন। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি মিস করলেন মার্কো আসেনসিও, দলে থাকলে যে শট নেওয়ার কথা বেনজেমার।

ম্যাচজুড়ে রক্ষণে–আক্রমণে ভোগা রিয়াল মাদ্রিদ মায়োর্কার কাছে হেরেছে ১–০ ব্যবধানে।

এই হারে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হারাল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ২০ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল, এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৫০। রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে বার্সা জিতে গেলে দুই দলের ব্যবধান হয়ে যাবে ৮ পয়েন্টের। লিগ শিরোপার লড়াইয়ে তখন কিছুটা পিছিয়েই যাবে রিয়াল মাদ্রিদ।

আরও পড়ুন

মায়োর্কার বিপক্ষে ম্যাচটি ঘিরে দল সাজাতেই হিমশিম খেতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তিকে। চোটের কারণে আগে থেকেই মাঠের বাইরে এডেন হ্যাজার্ড, লুকাস ভাসকেজ আর ফারলাঁ মেন্দিরা। সর্বশেষ ম্যাচের চোটে ছিটকে যান এদের মিলিতাও আর বেনজেমা। খেলা শুরুর আগে কোর্তোয়াও বেঞ্চে বসে গেলে বদলি করার মতো মাত্র পাঁচজন খেলোয়াড় ছিলেন কোচের হাতে।

পেনাল্টি শটে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন আসেনসিও
এএফপি

বেনজেমার অবর্তমানে সেন্টার ফরোয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয় রদ্রিগোকে। কিন্তু আক্রমণভাগে প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তরুণ। পারেননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র আর আসেনসিওরাও। উল্টো ম্যাচের ১৪ মিনিটেই গোল হজম করে বসে রিয়াল।

আরও পড়ুন

ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাড়ানো রদ্রিগেজের ক্রস খুঁজে পায় ভেডাট মুরিকিকে। কসোভো স্ট্রাইকারকে নজরে রেখেছিলেন নাচো। দুজন একসঙ্গে লাফিয়ে উঠলে প্রথমে মুরিকি, এরপর নাচোর মাথা ছুঁয়ে বল চলে যায় জালে। গোলরক্ষক লুনিন গোলমুখ ছেড়ে সামনে চলে আসায় দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না।

ম্যাচে ১০ বার ফাউলের শিকার হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
এএফপি

গোলের পর রিয়ালের চেষ্টা ছিল দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে রক্ষণে মনোযোগ বাড়িয়ে বাধা সৃষ্টি করে যায় মায়োর্কা। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর সুযোগই তৈরি করতে পারেনি রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে লুকা মদরিচ, টনি ক্রুসরা বদলি নামার পর আক্রমণে কিছুটা গতি বাড়ে। কিন্তু সেসব সামলাতে মায়োর্কা গোলরক্ষককে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি।

আরও পড়ুন

গোলের একমাত্র যে সুযোগ এসেছিল, সেটি নষ্ট করেন আসেনসিও। ৬০ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল। আসেনসিওর নেওয়া ডান দিকে নিচু শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মায়োর্কা গোলরক্ষক প্রেডরাখ রাইকোভিচ। ম্যাচের বাকি সময়েও গোলের সম্ভাবনা তৈরি করতে না পারলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালকে।