সিটির দলবদল পরিকল্পনা মাথায় ঢুকছে না আগুয়েরোর

সের্হিও আগুয়েরো, যখন সিটির হয়ে খেলতেনছবি : এএফপি

এবার আক্রমণভাগে বেশ বড়সড় বদল আনছে ম্যানচেস্টার সিটি। গত এক-দেড় বছর ধরে বলতে গেলে স্ট্রাইকারহীন ছকে খেলা দলটা এবার বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ডকে দলে টেনেছে। হলান্ডকে জায়গা করে দিতে গিয়ে আবার ক্লাব ছেড়েছেন রহিম স্টার্লিং ও গাব্রিয়েল জেসুসের মতো দুজন তারকা, যারা গত মৌসুমে সিটিকে লিগ জেতাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, যাদের ওপর সিটির উইং-পরিকল্পনার অনেকটাই নির্ভরশীল ছিল।

আরও পড়ুন

শুধু হলান্ডই নন, সিটিতে নাম লিখিয়েছেন হুলিয়ান আলভারেজ। তিনিও হলান্ডের মতোই স্ট্রাইকার। বোঝাই যাচ্ছে, এবার সিটির আক্রমণ-পরিকল্পনা স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর করবে অনেক। গত এক-দেড় বছর ধরে স্ট্রাইকারদের ওপর একেবারেই নির্ভর না করা সিটির হুট করে এমন স্ট্রাইকার-নির্ভরশীলতা ভাবাচ্ছে দলটার কিংবদন্তি স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরোকে। সিটির দলবদল-পরিকল্পনা মাথায় ঢুকছে না তার। বিশেষ করে রহিম স্টার্লিংয়ের মতো উইঙ্গারকে পেপ গার্দিওলা কেন বিক্রি করে দিলেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না আগুয়েরো।

স্টার্লিং এখন চেলসির
ছবি : টুইটার

পাঁচ কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে স্টার্লিংকে চেলসির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। শিরোপাদৌড়ে যে চেলসি তাদের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ হওয়ার ক্ষমতা রাখে। সব মিলিয়ে স্টার্লিংকে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা বিচিত্র ঠেকছে আগুয়েরোর কাছে। নিজের টুইচ চ্যানেলে সেটারই প্রকাশ ঘটিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার, 'স্টার্লিংকে কেন বিক্রি করে দেওয়া হলো, আমার বোধগম্য নয়। কিছু কিছু সময় আসে এমন, যখন সিটি বিচিত্র সিদ্ধান্ত নেয়।'

ওদিকে কমিউনিটি শিল্ডে হলান্ডের খেলা দেখেও মন ভরেনি আগুয়েরোর। আগুয়েরোর মতে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সফল হওয়াটা কঠিন, কারণ এখানকার ডিফেন্ডারদের মান অনেক ভালো, 'ও জার্মান লিগে খেলতে খেলতে অনেক অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। ও ভেবেছিল, ইংল্যান্ডেও অমনই হবে। খেলার সময় ও ভেবেছিল ও একাই আছে, একটুপর ফন ডাইক এসে ওকে বলে "প্রিমিয়ার লিগে স্বাগতম!"'

ডর্টমুন্ড ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন হরলান্ড
ছবি: টুইটার

সিটির আরেক স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে স্বদেশি আগুয়েরোর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন বলে জানিয়েছেন সিটির ইতিহাসের সফলতম স্ট্রাইকার, ‘ও (আলভারেজ) আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিল এটা জানার জন্য যে এখানকার আবহাওয়া কেমন। আমি বলেছি এখানে অনেক ঠান্ডা!’