গোল করে জার্সি খোলা নিষেধ—নিয়মটি পাল্টাতে বললেন ফার্নান্দেজ

গোলের পর জার্সি খুলে উদ্‌যাপন করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড উইঙ্গার আমাদ দিয়ালোএফএ কাপ এক্স অ্যাকাউন্ট

গোলের পর কত রকম উদ্‌যাপনই তো হয়! আনন্দে কেউ ডিগবাজি দেন, কেউ আবার গ্যালারির দিকে ছুটে যান। উদ্‌যাপনকে কেউ কেউ আবার ‘ব্র্যান্ড’-ও বানিয়ে ফেলেছেন—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ‘সিউ’ যেমন। আমাদ দিয়ালো তেমন কিছু করেননি।

গত রোববার এফএ কাপ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের ১২১ মিনিটে গোল করে আইভরি কোস্ট উইঙ্গার নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। জার্সি খুলে উদ্‌যাপন করছিলেন। কিন্তু বেরসিক রেফারি জন ব্রুকস দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাঁকে মাঠ থেকে বের করে দেন। ব্যাপারটা ভালো লাগেনি ইউনাইটেড মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজের। তাঁর দাবি, গোল করে জার্সি খুলে উদ্‌যাপনের কারণে হলুদ কার্ড দেখার এই নিয়ম ‘পাল্টাতে হবে’।

আরও পড়ুন

নিয়ম ভুলে দিয়ালোর জার্সি খুলে উদ্‌যাপনের একটা কারণও হয়তো খুঁজে নিতে পারেন ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। ৮৫ মিনিটে দিয়ালো যখন মাঠে নামেন ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল ইউনাইটেড।

নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে অ্যান্টনির গোলে ইউনাইটেড সমতায় ফেলার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ১০৫ মিনিটের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল, এরপর ১১২ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে ইউনাইটেড আবারও সমতায় ফেরে। তখন ম্যাচের পরিস্থিতিটা একবার ভাবুন। শেষ মুহূর্তের সে সময়ে গোল করা মানে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত। ২১ বছর বয়সী দিয়ালো সে গোলই করেন ম্যাচের একদম অন্তিম সময়ে। আনন্দে দিগ্‌বিদিক জ্ঞানশূন্য হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়!

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেজ
এএফপি

দিয়ালোর প্রশংসা করার পাশাপাশি ফার্নান্দেজ দাবি করেন, খেলোয়াড়দের আবেগ দেখানোর সুযোগ দিতে হবে, ‘সে সঠিক কাজের পুরস্কার (গোল) পেয়েছে। (গোলটা) তার প্রাপ্য ছিল। দুর্ভাগ্যবশত সে লাল কার্ড দেখেছে। কিন্তু ওটা ওই মুহূর্তের মহিমারই অংশ, আর বয়সও তো কম।’ ফার্নান্দেজ এরপর নিয়মটি নিয়ে বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, ফুটবলের নিয়মটি পাল্টাতে হবে। কারণ, গোলের পর তা উদ্‌যাপনের সুযোগ পাওয়া উচিত। অবশ্যই অন্য ক্লাবগুলোর প্রতি সম্মান বজায় রেখেই মুহূর্তটা উপভোগ করতে হবে।’

আরও পড়ুন

ফুটবলে জার্সি খুলে উদ্‌যাপনকে ‘বাড়াবাড়ি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফুটবলের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) ১২ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘খেলোয়াড়েরা গোল উদ্‌যাপন করতে পারবেন। কিন্তু উদ্‌যাপনে কোনোভাবেই বাড়াবাড়ি করা যাবে না।’

এই নিয়মের ‘গোল উদ্‌যাপন’ অংশে বলা হয়েছে, কোন কোন কাজ করলে উদ্‌যাপন মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে বিবেচনা করা হবে এবং অবশ্যই সতর্ক (হলুদ কার্ড) করা হবে; সেখানে সরাসরি বলা হয়েছে, ‘জার্সি খুললে কিংবা জার্সি দিয়ে মাথা ঢেকে ফেললে।’

গোল করে জার্সি খুলে উদ্‌যাপন করলে হলুদ কার্ড-২০০৪ সালের জুলাই থেকে ফিফা এ নিয়ম কার্যকর করে।

আরও পড়ুন