অপরাজিত থেকেই ফাইনালে বাংলাদেশ

ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাসছবি: বাফুফে

নেপালের সঙ্গে ড্র হলে তো কথাই ছিল না, এমনকি ৪ গোলের ব্যবধানে হারলেও ফাইনালে চলে যেত বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ড্র করেই অনূর্ধ্ব-২০ সাফ ফুটবলের ফাইনালে নাম লেখালেন বাংলাদেশের যুবারা।

আজ ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে লক্ষ্য পূরণ করেছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছিলেন ভারত ম্যাচে জোড়া গোল করা স্ট্রাইকার পিয়াস আহমেদ। নেপালকে সমতায় ফেরান নিরঞ্জন। চার ম্যাচেই অপরাজিত থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবার আগে টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ।

৪ ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১০। সমান ম্যাচে নেপালের ৭। ৩ ম্যাচে ভারতের ৬। আজ মালদ্বীপকে হারালে ৫ আগস্ট ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে ভারত।

গোল উদৃযাপনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা
ছবি: বাফুফে

ফাইনালে খেলতে হলে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের প্রয়োজন ছিল বড় জয়। শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছিল। সাধারণত এমন ম্যাচে দাঁতে দাঁত কামড়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে থাকে বাংলাদেশ।

তবে আজ রক্ষণাত্মক দেখা যায়নি বাংলাদেশকে। হালকা চোট থাকায় বিশ্রামে রাখা হয়েছিল আগের ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মিরাজুল ইসলামকে। এ ছাড়া চোট থাকায় বিশ্রামে রাখা হয়েছিল নিয়মিত রাইটব্যাক শাহিন মিয়াকে।

৬৩ মিনিটে পিয়াসের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রতি–আক্রমণ থেকে ঝড়ের গতিতে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন বদলি মিডফিল্ডার জনি, প্রথম স্পর্শেই প্লেসিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন পিয়াস।

এ নিয়ে টুর্নামেন্ট ৩ গোল হলো পিয়াসের। ৬৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ১–১ করেন নেপালের নিরঞ্জন।

আজ ম্যাচের একমাত্র গোলদাতা পিয়াশ আহমেদ
ছবি: বাফুফে

ম্যাচে গোল হয়েছে দুটি, লাল কার্ড হয়েছে দুটি। ৪৭ মিনিটে বল দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়েরা। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার শহিদুল ইসলাম ও নেপালের স্ট্রাইকার দিপেশ গুরুং। বাকি সময়ে দুই দলই খেলেছে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে।