একই ক্লাবের দুই সতীর্থ মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে। লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পের সেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। এরপর বুয়েনস এইরেসে শিরোপা উৎসব শেষে মেসি ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন জন্ম শহর রোজারিওতে।

অন্য দিকে প্যারিসে ফিরেই পিএসজির সঙ্গে যোগ দেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুটজয়ী তারকা এমবাপ্পে। মূলত দলকে মাঠে সহায়তা করতেই সে সময় নিজের ছুটি সংক্ষিপ্ত করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড। তাই মেসি যখন ছুটিতে ছিলেন, সে সময় মাঠে নেমে একাধিক ম্যাচও খেলেছেন ফরাসি তারকা।

আরও পড়ুন

পিএসজির হারের পর ছুটি সংক্ষিপ্ত করে মেসি কি দ্রুত ফিরবেন

এর মধ্যে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে নেইমারের লাল কার্ড দেখার ম্যাচে দলকে জয়ও এনে দিয়েছিলেন কদিন আগে ২৪তম জন্মদিন পালন করা এমবাপ্পে। তবে মেসি-নেইমারকে ছাড়া খেলতে নেমে লাঁসের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি এমবাপ্পেও। সে ম্যাচে ৩-১ গোলে হারতে হয়েছে তাদের। সেই ম্যাচের পর শুরু হয়ে যায় এমবাপ্পের ছুটিও।

বিশ্বকাপ ফাইনালের এক পর্যায়ে মেসি–এমবাপ্পে কেউ কারও দিকে তাকাননি
ছবি : এএফপি

শুধু এমবাপ্পেই নন, তাঁর সঙ্গে ছুটিতে গেছেন আশরাফ হাকিমিও। আর নিষেধাজ্ঞায় দলের সঙ্গে থাকতে পারছেন না নেইমারও। এমন পরিস্থিতিতে পিএসজির সুখবর হচ্ছে ছুটি শেষ করে ফিরছেন মেসি।

তবে শুরুতে ১১ জানুয়ারির পর মাঠে নামার কথা থাকলেও এখন হয়তো আগেই দেখা যেতে পারে মেসিকে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত বিমানে রোজারিও থেকে প্যারিসে পাড়ি জমানোর খবরও পাওয়া গেছে। আজকেই তাঁর প্যারিসের দলটিতে যোগ দেওয়ার কথা।

আরও পড়ুন

মেসি-নেইমারবিহীন পিএসজির বছর শুরু হারে

মেসির আগমনের সময় এমবাপ্পের ছুটি কাটাতে চলে যাওয়ায় বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এই দুই তারকার পুনর্মিলনী দেখতে আরও কিছু সময় এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পিএসজি আগামী শনিবার নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে শাতোরুর বিপক্ষে।

আরও পড়ুন

মেসি–নেইমার ২০২২ সালের ইউরোপের সেরা দুই ‘লাতিন’

সেই ম্যাচেই হয়তো দেখা যেতে পারে মেসিকে। তবে ম্যাচটির জন্য প্রস্তুতির পুরোপুরি সুযোগ না পেলে মেসিকে মাঠে দেখার জন্য হয়তো অপেক্ষা করতে হতে পারে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।