‘প্রমোশনের’ আনন্দে বাঁধনহারা উদ্‌যাপন, ২৫ জন হাসপাতালে, একজন জীবন-শঙ্কায়

মাঠে নেমে উৎসব শুরু করেন হামবুর্গের সমর্থকেরা।রয়টার্স

কখনো কখনো আনন্দই যে বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা এখন টের পাচ্ছেন হামবুর্গের সমর্থকেরা। জার্মানির এই ফুটবল ক্লাব গতকাল বুন্দেসলিগা ২ থেকে প্রমোশন পেয়ে বুন্দেসলিগায় উঠেছে।

৭ বছর পর জার্মানির শীর্ষ প্রতিযোগিতায় ওঠার আনন্দে দলটির সমর্থকেরা এতটাই উদ্বেলিত ছিলেন যে ম্যাচ শেষ হতে না হতেই সবাই হুড়মুড় করে মাঠে নেমে পড়েন। আর তাতেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। একসঙ্গে অনেক মানুষের হইহুল্লোড়ে আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশত। হামবুর্গের স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

জার্মানির শীর্ষ লিগে ৬ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া হামবুর্গ ২০১৮ সালে প্রথমবার দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা বুন্দেসলিগা ২–তে নেমে যায়। এরপর গত কয়েক বছর চেষ্টা করেও শীর্ষ লিগে ফিরতে পারেনি দলটি। সামনের মৌসুমে বুন্দেসলিগায় খেলতে গতকাল উল্‌মের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল হামবুর্গের।

একসঙ্গে অনেক মানুষ মাঠে নেমে পড়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এএফপি

নিজেদের মাঠ ফক্সপার্কস্টেডিয়নের ম্যাচটিতে শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত উল্‌মকে ৬–১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় হামবুর্গ। রেফারি শেষ বাঁশি বাজতেই ৫৭ হাজার ধারণক্ষমতার গ্যালারি থেকে দর্শকেরা হুড়মুড় করে মাঠের ভেতরে ঢুকে যান। একসঙ্গে অনেক মানুষ মাঠে নেমে যাওয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং এতে অনেকে আহত হন।

আরও পড়ুন

হামবুর্গ ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া বিবৃতিতে ৪৪ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এর মধ্যে একজন হাসপাতালে জীবনশঙ্কায় আছেন। এর বাইরে গুরুতর আহত ১৯ জনসহ ২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।

শেষ বাঁশির পর সবাই হুড়মুড় করে মাঠে ঢোকাতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাস্থলে একটি জরুরি সেবা বিভাগ চালু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া উদ্ধারসেবা বিভাগের সহায়তায় মোট ৬৫ জন জরুরি কর্মী সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনবার ইউরোপীয় শিরোপা জেতা হামবুর্গ এবারের বুন্দেসলিগা ২–তে ৩৩ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। লিগে এখনো এক ম্যাচ বাকি থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থাকা নিশ্চিত হওয়ায় বুন্দেসলিগার টিকিট পেয়ে গেছে দলটি। এর আগে গত ছয় বছর বুন্দেসলিগায় ওঠার খুব কাছাকাছি গিয়েও দলটি ব্যর্থ হয়েছিল। তিনবার হয়েছে চতুর্থ, তিনবার তৃতীয়।

আরও পড়ুন