অবনমন এবং ৩০ বছর পর যে অভিজ্ঞতা হলো ইংল্যান্ডের

হারের পর হতাশ ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ার। পেছনে ইতালির খেলোয়াড়দের উল্লাসছবি: এএফপি

সর্বশেষ ইউরোর ফাইনাল খেলেছে ইতালি–ইংল্যান্ড। কিন্তু এর পর থেকেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেছে দুই দল।

ইউরোপসেরার শিরোপা হাতে তোলা ইতালি কাতার বিশ্বকাপে জায়গাই করতে পারেনি, জুনে জার্মানির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে ৫–২ ব্যবধানে। আর রানার্সআপ হওয়া ইংল্যান্ড কাতারের টিকিট কাটলেও গত কয়েক মাসের বেহাল পারফরম্যান্সে এখন বিশ্বকাপ নিয়েই দুশ্চিন্তায়।

ইউরো ফাইনালের পর গত রাতে সান সিরোতে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি–ইংল্যান্ড। উয়েফা নেশনস লিগে এই ম্যাড়মেড়ে ম্যাচে জিয়াকোমো রাসপাদোরির গোলে কোনোমতে জিতেছে ইতালি। ১–০ ব্যবধানের এই পরাজয়ে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে টানা পাঁচ ম্যাচ জয়হীন রইল ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ীরা সর্বশেষ এমন বাজে সময়ের মধ্যে গেছে ৩০ বছর আগে—১৯৯২ সালে।

শুধু এটিই নয়, এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে ওপেন প্লে থেকে কোনো গোলও পায়নি ইংলিশরা। এবারের নেশনস লিগে পেনাল্টি ছাড়া গোল না পাওয়া দল আছে আর মাত্র একটি, ফিফা র‌্যাংকিংয়ের ২১১ নম্বরে থাকা সান ম্যারিনো। একই সঙ্গে টানা তিন ম্যাচেও কোনো ধরনের গোলই করতে পারেননি হ্যারি কেইনরা, যা ২০০০ সালের পর এই প্রথম।

এত এত বাজে রেকর্ডের পাশাপাশি আরেকটি দুঃসংবাদও যোগ হয়েছে। এই হারে উয়েফা নেশনস লিগের দ্বিতীয় স্তরে অবনমনও নিশ্চিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। আগের আসরে তৃতীয় হওয়া গ্যারেথ সাউথগেটের দল সামনের বছর খেলবে লিগ–বিতে। হারের পর ইংল্যান্ডকে দুয়ো দেন সান সিরোর দর্শকেরা। এ

রপরও অবশ্য দলের ব্যর্থতা নিয়ে হতাশ নন ইংল্যান্ড কোচ, বরং টানা পঞ্চম জয়হীন ম্যাচেও ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাচ্ছেন তিনি, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এই পারফরম্যান্স আমাদের সঠিক পথে আগানো নির্দেশ করছে। দলকে আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ, আমার প্রতিক্রিয়াটা ম্যাচের ফলের সঙ্গে মেলে না।’

অবনমন নিশ্চিত হলেও এখনো একটি ম্যাচ বাকি ইংল্যান্ডের। সোমবার রাতে ওয়েম্বলিতে সেই ম্যাচের প্রতিপক্ষ জার্মানি।