সান সিরোয় কাল রাতে বার্সেলোনাকে ১-০ গোলে হারায় ইন্টার মিলান। কিন্তু বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজের দাবি মানলে স্কোরলাইন পাল্টে যায়!
একটি গোল হ্যান্ডবলের জন্য বাতিল করা হয়। পরে যোগ করা সময়ে ইন্টারের বক্সে ডিফেন্ডার ডেঞ্জেল ডামফ্রিসের হাতে বল লাগে। পেনাল্টির আবেদন করেও পায়নি বার্সা। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বার্সার পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি।
এ দুটি সিদ্ধান্ত বার্সার পক্ষে গেলে জাভির দলকে আর যা–ই হোক, ইতালি থেকে হার নিয়ে ফিরতে হতো না। উল্টো, পেনাল্টি থেকে গোল ধরে নিলে বার্সা তো ম্যাচটা ২-১ ব্যবধানে জেতে!
জাভি তাই খেপেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বার্সা কোচের অভিযোগ, রেফারিংয়ে ‘অবিচার’–এর শিকার হয়েছেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হাকান চালহানোলুর গোলে এগিয়ে ছিল ইন্টার।
বিরতির পর ৬৬ মিনিটে বার্সা মিডফিল্ডার পেদ্রি বল জালে পাঠালেও তার আগে আনসু ফাতির হ্যান্ডবল হওয়ায় সেই গোল বাতিল হয়ে যায়। তবে ভিডিও রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, ফাতির হ্যান্ডবল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত, এড়ানোর উপায় ছিল না।
এরপর যোগ করা সময়ে বক্সে আনসু ফাতির সামনে থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে একটি ক্রস হাতের কবজিতে লাগান ইন্টারের ডামফ্রিস। মাঠের রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ দীর্ঘ সময় ভিএআরের সহায়তা নিয়ে বার্সার পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন।
কিন্তু এ সিদ্ধান্ত জানানোর আগে রেফারি ভিনচিচকে মাঠের পাশে ভিএআর মনিটরে ঘটনাটির রিপ্লে দেখার জন্য ডাকা হয়নি। পেদ্রির গোল বাতিলের আগে অবশ্য মনিটরে দেখে নিয়েছেন ভিনচিচ।
জাভি তাই মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘যদি জিজ্ঞেস করেন কেমন আছি, বলব রেগে আছি। কিছুই বুঝতে পারছি না। আনসু (অনিচ্ছাকৃতভাবে) হ্যান্ডবল করলেও গোলটা করেছে অন্য একজন। এটা গোল। কিন্তু বাতিল করে দেওয়া হলো। আরেকটিও (ডামফ্রিসের সম্ভাব্য হ্যান্ডবল)...বুঝতে পারিনি। খোলাখুলি বলছি, এটা অবিচার। রেফারির মুখ খোলা উচিত।’
এ হারে তিন সাবেক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে গড়া ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এ বার্সেলোনার অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেল। ‘সি’ গ্রুপে ৩টি করে ম্যাচ শেষে বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ৯, ইন্টার মিলানের ৬, বার্সেলোনার ৩, প্লজেনের ০।
রেফারির কাছে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চেয়ে জাভি বলেছেন, ‘যা দেখেছি, রাগ লাগছে। এটা অবিচার। গত সোমবারও বলেছি আবারও বলছি, রেফারিদের নিজেদের সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ, আমি কিছুই বুঝিনি। ম্যাচ শেষে রেফারি আমাকে এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। কিন্তু তাঁদের কথা বলতে হবে। যে সিদ্ধান্ত নিজে দিইনি, তা নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না।’
ইন্টারের কোচ সিমোন ইনজাঘি ম্যাচ শেষে জানিয়েছেন, দুটি ঘটনাই তাঁর চোখ এড়িয়ে গেছে।