রোনালদোকে নিয়ে অনুশোচনা নেই পর্তুগাল কোচের

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোছবি: রয়টার্স

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কী জিতেননি?

লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ—সবই জিতেছেন। কেবল বিশ্বকাপটাই ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। অধরা সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য কাতার বিশ্বকাপটাই ছিল তাঁর শেষ সুযোগ। এবারও পারলেন না পর্তুগিজ তারকা। মরক্কোর ইতিহাস গড়ার রাতে পর্তুগালের বিদায় নিতে হয়েছে শেষ আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হেরেছে ১-০ গোলে।

রোনালদো এখনো ঘোষণা দেননি যে তিনি আর বিশ্বকাপ খেলবেন না। তবে ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো ২০২৬ বিশ্বকাপেও খেলবেন, এটা ভাবার লোক খুব বেশি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁর বয়স হয়ে যাবে ৪১ বছর। এই বিশ্বকাপেই দেখা গেছে রোনালদো বয়সের ভারে অনেকটাই নুয়ে পড়েছেন। সেদিক বিবেচনায় কাতারই রোনালদোর ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ধরে নেওয়া যায়।

আরও পড়ুন

নিজের শেষ বিশ্বকাপে রোনালদোর একটু বাড়তি অনুপ্রাণিত থাকারই কথা ছিল, তবে সেটা হয়নি। কাতার বিশ্বকাপ তাঁকে দিয়েছে তিক্ত এক অভিজ্ঞতা। শেষে ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ও শেষ আটের লড়াইয়ে মরক্কোর বিপক্ষে তাঁকে শুরুর একাদশেই রাখেননি পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।

কাঁদতে কাঁদতে মাঠে ছাড়েন রোনালদো
ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন

মরক্কোর বিপক্ষে রোনালদো মাঠে নামেন ৫২ মিনিটে। ততক্ষণে ১-০ গোলে পিছিয়ে পর্তুগাল। রোনালদো শুরু থেকেই একাদশে থাকলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত, এমন একটা আলোচনা আছে ফুটবল মহলে। ম্যাচ–পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসের দিকেও রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলানো নিয়ে প্রশ্ন ধেয়ে আসে।

সে প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য সান্তোস বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না রোনালদোকে শুরু থেকে খেলালে ম্যাচের ফল বদলে যেত। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই দলটাই দারুণ ফুটবল খেলেছে। রোনালদো দুর্দান্ত একজন ফুটবলার। সে তখনই মাঠে নেমেছে, যখন আমরা তার প্রয়োজন অনুভব করেছি। এ নিয়ে আমার কোনো অনুশোচনা নেই।’

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর রোনালদো মাঠে ছেড়েছেন কাঁদতে কাঁদতে। এমনিতেই শেষ বিশ্বকাপ, সঙ্গে শুরু থেকে না খেলতে পারার আক্ষেপে-হতাশ পর্তুগিজ তারকা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। বিমর্ষ ছিলেন পর্তুগাল কোচ সান্তোসও। আট বছর ধরেই এই দলটার সঙ্গে আছেন তিনি।

কৌশলের কারণে রোনালদোকে শুরু থেকে না খেলাতে পেরে হতাশ তিনি নিজেও। ম্যাচ শেষে সে হতাশা লুকাননি সান্তোস, ‘দলের স্বার্থে আমি আমার মনের কথা শুনতে পারি না, আমাকে মাথা দিয়ে ভাবতে হবে। এই হারে সবচেয়ে বেশি হতাশ হয়েছে, এমন দুজন ব্যক্তিকে যদি বেছে নিতে হয়, তাহলে তার একজন আমি, অন্যজন রোনালদো। অবশ্যই আমরা খুবই হতাশ। কিন্তু কোচ ও ফুটবলারদের কাজটাই এমন।’