নেইমারের অস্ত্রোপচার ‘ভালোভাবে’ সম্পন্ন হয়েছে

লিলের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন নেইমারছবি: ইনস্টাগ্রাম

নেইমার অ্যাঙ্কেলের চোটে ভুগছেন, তা সবারই জানা। সে জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হবে এবং প্রায় চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে, এ খবরও পুরোনো। নতুন খবর, নেইমারের পায়ে অস্ত্রোপচার ‘খুব ভালোভাবে’ সম্পন্ন হয়েছে। কাল পিএসজি বিবৃতিতে জানিয়েছে, দোহার একটি ক্লিনিকে তিন চিকিৎসক মিলে নেইমারের ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলে ক্ষতিগ্রস্ত লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার করেন। এর মধ্যে একজন ব্রাজিল জাতীয় দলের চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার।

অস্ত্রোপচারের পর পিএসজির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দোহার আসপেতার হাসপাতালে শুক্রবার সকালের দিকে নেইমারের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে...অস্ত্রোপচার খুব ভালো হয়েছে। তিনি এখন বিশ্রাম এবং পরিচর্যার মধ্যে থাকবেন।’ পিএসজি গত সোমবার জানিয়েছিল, নেইমারের পায়ে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। তখনই জানা গিয়েছিল, অস্ত্রোপচারের কারণে প্রায় চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হবে ব্রাজিল ফরোয়ার্ডকে। মৌসুম তাই তখনই শেষ হয়ে যায় নেইমারের জন্য। এ মৌসুমে নেইমার আর মাঠে নামতে পারবেন না, তখনই জানিয়ে দিয়েছিল সংবাদমাধ্যম।

আরও পড়ুন
পিএসজি তারকা নেইমার
ছবি: টুইটার

লিলের বিপক্ষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলে চোট পাওয়ার পর থেকেই মাঠের বাইরে নেইমার। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘ল্যান্স’ জানিয়েছে, নেইমারের বিশ্রামের এই সময়টুকু গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে বিশ্রাম নিলে চার মাস মাঠের বাইরে না–ও থাকতে হতে পারে। আগেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন ব্রাজিল তারকা। পিএসজি অস্ত্রোপচারের ঘোষণা দেওয়ার পর টুইটে নেইমার বলেছিলেন, ‘আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’

আরও পড়ুন
নেইমারের মৌসুম শেষের বিষয়টি আগেই নিশ্চিত হয়েছিল
ছবি: রয়টার্স

ডান পায়ের অ্যাঙ্কেলে গত বছর কাতার বিশ্বকাপেই চোট পেয়েছিলেন নেইমার। একই জায়গায় আবারও চোট পাওয়ার পর ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পিএসজির বিবৃতিতে তখন বলা হয়েছিল, ‘বিশেষজ্ঞরা সবকিছু ভালোভাবে পর্যালোচনার পর নেইমার জুনিয়রের অ্যাঙ্কেলে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েছেন। দোহায় কয়েক দিনের মধ্যে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। তিন থেকে চার মাস পর তিনি দলীয় অনুশীলনে ফিরতে পারেন।’ ট্রান্সফারমার্কেটের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩ সালে নেইমার বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর ১০ বছরে সব মিলিয়ে ৮৮০ দিন চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। ম্যাচ মিস করেছেন ১৪৫টি। আর এ সময় চোটে পড়েছেন মোট ৩৩ বার

আরও পড়ুন