দলকে সমর্থকের দুয়ো, খেপেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের স্ত্রী

থিয়াগো সিলভা ও তাঁর স্ত্রী ইসাবেলেছবি: ইনস্টাগ্রাম

দল খারাপ খেললে সমর্থকদের দুয়ো দেওয়াটা ফুটবলে চিরায়ত। পারফরম্যান্স খারাপ হলেও দুয়ো শুনতে হয় খেলোয়াড়দের। দল বা খেলোয়াড়েরাও স্বাভাবিকভাবে এসব মেনে নিয়েই খেলতে নামেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে চাপে থাকা চেলসিকেও শুনতে হচ্ছে দুয়ো।

খেলোয়াড়েরা এসব নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও মানতে পারেননি ইসাবেলে সিলভা, যিনি বেলে নামেও পরিচিত। তাঁর অন্য পরিচয় চেলসির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার স্ত্রী। গ্যালারিতে বসে নিজ দলের সমর্থকদের দুয়ো দেওয়ার বিষয়টি মানতেই পারছেন না ইসাবেলে। দলকে উৎসাহ দিতে না পারলে সমর্থকদের মাঠে আসতেও নিষেধ করে দিয়েছেন ইসাবেলে।

আরও পড়ুন

ঘটনার সূত্রপাত চেলসি-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচে। স্টামফোর্ড ব্রিজের সে ম্যাচে ম্যান সিটির বিপক্ষে রিয়াদ মাহরেজের করা একমাত্র গোলে হেরে যায় চেলসি। এ হারের পর পয়েন্ট তালিকার ১০ নম্বরে অবস্থান করছে ‘ব্লুজ’রা।

এমনকি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ৭ ম্যাচের মাত্র ১টিতে জিতেছে চেলসি। স্বভাবতই দলের এমন দুর্দশা মানতে পারছেন না সমর্থকেরা। ঘরের মাঠে খেলা দেখতে আসা সমর্থকদের কাছে দুয়োও শুনতে হয়েছে চেলসির খেলোয়াড়দের, যা কিনা একেবারেই সহ্য হয়নি ইসাবেলের।

টুইটারের সমর্থকদের দিকে সমালোচনার তির ছুড়ে লিখেছেন, ‘আপনি গান না গাইলে স্টামফোর্ড ব্রিজে আসবেন না। চেলসি এগিয়ে চলো।’ এই ক্যাপশনের সঙ্গে মাঠের একটি ভিডিও জুড়ে দিয়েছেন ইসাবেলে। যেখানে তাঁর পাশে থাকা অন্যদের নিয়ে চেলসিকে ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক দিতে দেখা যায় সিলভার স্ত্রীকে।

ইসাবেলের বিরোধে জড়ানোর ঘটনা অবশ্য এবারই প্রথম নয়; অতীতেও তাঁকে বিভিন্ন সময় সমর্থক, ধারাভাষ্যকার, এমনকি সিলভার সতীর্থদেরও ধুয়ে দিতে দেখা গেছে। এর আগে স্টামফোর্ড ব্রিজের আশপাশে সিলভার ছবি কম কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন

গত মৌসুমে ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ধারাভাষ্যকার যখন সিলভার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তখন পাল্টা জবাব দিয়ে ইসাবেলে বলেছিলেন, ‘আমি স্টামফোর্ড ব্রিজের বক্সে। আমি মাত্র শুনলাম ধারাভাষ্যকার বলছেন, থিয়াগো সিলভা যথেষ্ট আক্রমণাত্মক নন। থিয়াগো সিলভাকে সম্মান করুন, সে গতকাল এসেছে, ব্রাজিলের হয়ে খেলেছে। ভীষণ ক্লান্ত। তার বয়স ৩৭ বছর কিন্তু সে খেলছে ২০ বছর বয়সীর মতো। তাই তাকে সম্মান করুন। সে যন্ত্র নয়, তারও আরাম প্রয়োজন। ঠিক আছে?’