মেসি–এমবাপ্পে–নেইমারদের দলের বিপক্ষে গোল করা কেন সহজ

মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পের বিপক্ষে রক্ষণে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছেছবি: টুইটার

ফ্লোরেইন বালোগানের গোল কাল পিএসজির জয়ের আশা শেষ করে দিয়েছে। ৫১ মিনিটে নেইমারের গোলে রেঁসের বিপক্ষে ১–০ গোলে এগিয়ে যাওয়া পিএসজি শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়েছে ১–১ গোলে ড্র নিয়ে।

বিশ্বকাপের পর এই প্রথম মেসি, নেইমার আর এমবাপ্পে একসঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তারকাত্রয়ীকে নামিয়ে কিছুই পায়নি ক্রিস্তফ গালতিয়েরের দল। ২০২৩ সালের শুরুতে চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয়হীন পিএসজি।

আরও পড়ুন

ম্যাচ শেষে পিএসজির তারকাত্রয়ীর একটা দুর্বলতা ধরতে পেরেছেন রেঁসের অধিনায়ক ইউনিস আবদেলহামিদ। তিনি বলেছেন, এই তিন তারকা পিএসজির রক্ষণে কোনো ভূমিকা রাখেন না। সেটি দেখেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিল তাঁর দল। গোলটিও এসেছে ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেই।

রেঁসের বিপক্ষে পুরো পয়েন্ট তুলে নিতে পারেনি পিএসজি
ছবি: এএফপি

মেসি–নেইমার–এমবাপ্পে—পিএসজির আক্রমণভাগ যেকোনো বিচারেই স্বপ্নের মতোই। তিনজনই বিশ্বের অন্যতম সেরা তিন ফুটবলার। মেসি কিছুদিন আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছে প্রায় একক নৈপুণ্যে। নেইমার ব্রাজিল দলের প্রাণভোমরা, এমবাপ্পে ২০১৮ সালে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পর এবার কাতারে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফাইনালে তাঁর পিএসজি সতীর্থ মেসির সঙ্গে পেরে ওঠেননি।

এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করবে—প্রত্যাশা তো এমনই। কিন্তু এই তিনের সমন্বয়ে পিএসজি এখনো পর্যন্ত আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেনি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

রেঁসের অধিনায়ক আবদেলহামিদ কাল ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের পিএসজির বড় একটা দুর্বলতাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, ‘পিএসজির বিপক্ষে নিজেদের রক্ষণ থেকে বল নিয়ে ওপরে উঠে পড়াটা খুব সহজ। কারণ, মেসি–নেইমার–এমবাপ্পেরা দলকে রক্ষণকাজে সহায়তা করেন না। সমন্বিত রক্ষণকাজে তাদের কোনো ভূমিকাই নেই। তাদের সহজেই পেরিয়ে বল ওপরে তোলা যায়। আমরা ব্যাপারটা লক্ষ করেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিলাম। সেই পরিকল্পনার প্রয়োগ ঘটিয়েই সফল হয়েছি। সে কারণেই আমরা ম্যাচে বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করেছি।’

ম্যাচের ৫১ মিনিটে নেইমার পিএসজিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। হুয়ান বের্নাতের পাস থেকে বল পেয়ে গোলকিপারকে বোকা বানাতে বাঁ দিকে সরে গিয়েছিলেন নেইমার। ব্রাজিল তারকার শরীরের ঝাঁকিতে গোলকিপার পরে গেলে ওই অবস্থাতেই নেইমারকে ঠেকাতে চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু নেইমার আরও বাঁ দিকে সরে গিয়ে গোল করেন। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে রেঁস পিএসজিকে হতাশা উপহার দেয়। মাঝমাঠে বল নিয়ে গতি দিয়ে দুই পিএসজি ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে কাটিয়ে গোল করেন।