‘ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, বেলজিয়াম—কাতারে সবাইকে উড়িয়ে দেবে ফ্রান্স’
১৯৯৮ সালের ফাইনালের স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে মার্সেল দেসাইয়ের মনে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে লাল কার্ড দেখে তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল মাঠের বাইরে। এরপরও ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেবার শিরোপা জিতেছিল তাঁর দল ফ্রান্স।
১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর ২০০০ সালের ইউরো জেতে ফ্রান্স। কিন্তু ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় রজার লেমেরের দলকে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জেতা ফ্রান্স ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর যেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল-যজ্ঞে একটা ‘রীতি’ই দাঁড়িয়ে গেছে—আগের বিশ্বকাপের মুকুটজয়ীরা পরের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়বে! ২০০৬ বিশ্বকাপ জেতা ইতালির ২০১০ সালে এটা হয়েছে। ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী স্পেন ২০১৪ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ২০১৮ সালে জার্মানিও একই দুর্ভাগ্য মেনে নিয়েছে!
২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী ফ্রান্সের এবার কী হবে? একই দুর্ভাগ্য বরণ করে নিতে হবে কিলিয়ান এমবাপ্পে-পল পগবাদের ফ্রান্সকে? এ প্রশ্ন শুনে দেসাই সঙ্গে সঙ্গেই বলে উঠলেন, ‘না।’ এরপর ব্যাখ্যা দিলেন সেই দল কেন পারেনি আর এই দলের কী হবে, ‘২০০২ সালে দলের ৭০ শতাংশ খেলোয়াড়েরই বয়স ছিল ৩০-এর ওপরে। আমরা জানতাম, আমাদের কী হতে চলেছে। এই দলের এরা এখনো বুঝেই উঠতে পারেনি ২০১৮ সালে তারা কত বড় কাজ করে ফেলেছে।’
দেসাই এরপর যোগ করেন, ‘তারা যে সাফল্য পেয়েছে, সেটা বোঝার মতো বোধই নেই তাদের। তারা তরুণ, তাদের কাছ থেকে আরও অনেক কিছু পাওয়ার আছে। কিলিয়ান এমবাপ্পের কথাই ভাবুন। সে বুঝতে পারছে না। সে আরও কিছুর প্রত্যাশা করছে। আমার মনে হয় না, আমাদের মতো তারাও একই চাপে থাকবে।’
এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স তাহলে কী করতে পারে বলে মনে করেন দেসাই? উত্তরে দেসাই যা বলেছেন, তার মানেটা এ রকম—কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সের ধারেকাছেও যেতে পারবে না কোনো দল! তাঁর কথা, ‘এমবাপ্পে ফ্রান্সের জন্য অসাধারণ এক অস্ত্র। এখন করিম বেনজেমাও আছে। আমার তো মনে হয়, ফ্রান্স ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, হল্যান্ড (নেদারল্যান্ডস), বেলজিয়াম—সবাইকে উড়িয়ে দেবে। আমার বিশ্বাস, ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতবে।’