সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টের পাওয়া যাচ্ছিল—ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে কিছু একটা হবে। এই কিছু একটা মানে ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী আচরণের ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদের সমর্থকেরা।

দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কোকেও ম্যাচের আগে বলেছিলেন—মেত্রোপলিতানোতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নাচলে সমস্যা হবে। কী সমস্যা হবে সেটা অবশ্য তখন তিনি উল্লেখ করেননি।

পরিস্থিতি দেখে আতলেতিকো কর্তৃপক্ষ সমর্থকদের উদ্দেশে একটি বিবৃতিও দিয়েছিল, ‘আপনারা ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা ও আবেগ প্রকাশ করুন। কিন্তু একই সঙ্গে প্রতিপক্ষের প্রতি শ্রদ্ধাও দেখাতে হবে।’ কিন্তু কে শোনে কার কথা! আতলেতিকোর কট্টর সমর্থকেরা তো ভিনিসুয়সের সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণ করেছেই, দলটির সাধারণ সমর্থকেরাও এতে যো্গ দেয়।

ভিনিসিয়ুসের উদ্দেশে তাদের বর্ণবাদী আচরণের শুরু ম্যাচের আগেই। রিয়াল মাদ্রিদ দল স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা মাঠের বাইরে গান গাইতে শুরু করে এই বলে, ‘ভিনিসিয়ুস, তুমি বানর।’ মাঠের ভেতরে গ্যালারিতেও ছিল একই অবস্থা।

পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছায় রদ্রিগো রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম গোলটি করলে। গোল করেই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার খুঁজে নেন স্বদেশী ভিনিসিয়ুসকে। রিয়ালের দুই ব্রাজিলিয়ান গোল উদ্‌যাপন করেন নেচে। ভিনিসিযুসের যে নাচ নিয়ে সম্প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন স্পেনের ফুটবল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পেদ্রো ব্রাভো।

রদ্রিগো–ভিনিসিয়ুসের অমন উদ্‌যাপনের সময় গ্যালারি থেকে ছুটে এসেছে তীব্র বর্ণবাদী মন্তব্য। একই সঙ্গে বোতলসহ নানাকিছু মাঠে গোল উদ্‌যাপন করা রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুসের দিকে ছুড়ে মেরেছে তারা।

আতলেতিকোর সমর্থকেরা এখানেই ক্ষান্ত হয়নি। মাঠের বাইরে আর গ্যালারিতে কয়েকজনকে দেখা গেছে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরিয়ে কালো পুতুল নিয়ে এসেছে। তবে এতকিছূর পরও মনোযোগে বিচ্যুতি ঘটেনি রিয়ালের খেলোয়াড়দের। আতলেতিকোর মাঠ থেকে ২–১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।