কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অযোগ্য খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছে ইকুয়েডর—ফিফার কাছে এমন অভিযোগ করেছিল চিলি। কিন্তু গত জুনে ফিফা নিজেদের তদন্তে ইকুয়েডরের পক্ষেই রায় দিয়েছে। সিদ্ধান্তটি মানতে পারেনি চিলি। লাতিন আমেরিকার দেশটি ফিফার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে।
ফিফা ইকুয়েডরের পক্ষে রায় দেওয়ার পর কাতার বিশ্বকাপে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে যায় ইকুয়েডর। দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে চতুর্থ দল হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে ইকুয়েডর। দলটির রাইটব্যাক বায়রন কাস্তিয়োকে নিয়ে ফিফায় অভিযোগ করেছিল চিলি। ফিফায় জমা দেওয়া কাস্তিয়োর কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে, ১৯৯৮ সালে ইকুয়েডরের জেনারেল ভিল্লামিল অঞ্চলে তাঁর জন্ম। কিন্তু চিলির দাবি, কাস্তিয়োর জন্ম ১৯৯৫ সালে কলম্বিয়ার টুমাকোয়। বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের ১৮ ম্যাচের মধ্যে ৮ ম্যাচ খেলা কাস্তিয়ো ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিল চিলি।
কিন্তু তদন্তের পর ফিফার রায়ে বলা হয়, ‘ইকুয়েডর জাতীয় দলের হয়ে কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আটটি ম্যাচে বায়রন দাভিদ কাস্তিয়োর মাঠে নামার সম্ভাব্য অযোগ্যতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের দেওয়া তথ্য ও প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করে ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশনের বিপক্ষে ওঠা সব অভিযোগ খারিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
চিলি ফিফার এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে। কালই আপিলসংক্রান্ত সব কাগজ ফিফায় জমা দিয়েছে দেশটি। চিলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোর্হে ইয়ুঙ্গি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তদন্ত করে যে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। এটা পরিষ্কার যে খেলোয়াড়টি ইকুয়েডরের হয়ে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করেছে। এটা শুধু ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার বিষয় নয়, খেলাধুলার ফেয়ার প্লে নিয়েও ভাবতে হবে।’
১৯ পয়েন্ট পেয়ে সাত নম্বরে থেকে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করে চিলি। পঞ্চম স্থানে থাকা পেরু প্লে অফে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে ছিটকে পড়ে।