ব্রাজিলের কাছে যা চায় বাফুফে

দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরাপ্রথম আলো

বিশ্বকাপ এলেই বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার সমর্থনে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনের প্রায় পুরোটাই ব্রাজিল–আর্জেন্টিনাময়।

সেই দুই দেশের এক দেশ ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুই দিনের সফরে আজ ঢাকায় এসেছেন। মাউরোর সফরে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আছে ফুটবলও। ব্রাজিলের কাছে ফুটবল উন্নয়নে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফর চলাকালেই দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার কথা ছিল। ব্রাজিলের দিক থেকে প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে সমঝোতা স্মারকটি সই হয়নি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। তবে দুই পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াগত বিষয়গুলো শেষ করে অচিরেই ফুটবল উন্নয়নবিষয়ক সমঝোতা চুক্তি সই হবে।

সমঝোতা চুক্তির আগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। সে অনুযায়ী বাফুফে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে নিজেদের চাহিদার একটি তালিকাও দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল আমরা কী চাই। সমঝোতা স্মারকে কী কী থাকবে, এটা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ই প্রস্তুত করছে। আমরা শুধু নিজেদের চাহিদাটা বলেছি। তবে ব্রাজিল যতটুকু দিতে চাইবে, আমরা হয়তো ততটুকুই পাব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা
প্রথম আলো

বাফুফে ব্রাজিলের কাছে কী কী চেয়েছে, এমন প্রশ্নে ইমরান বলেন, ‘আমরা মূলত কোচ, একাডেমি ও প্রশিক্ষণে সাহায্য চেয়েছি। তাদের কাছে আমরা কোচ চাই, আমাদের কোচদের যেন তারা প্রশিক্ষণ দেয়, সেটি চাই। বয়সভিত্তিক ফুটবলেও সহযোগিতা চেয়েছি। ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলগুলো এখানে নিয়মিত খেলতে এলে বাংলাদেশের ফুটবল লাভবান হবে। নারী ফুটবলেও আমরা সহযোগিতা চেয়েছি।’

২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে চার তরুণ ফুটবলার ব্রাজিলে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে আরও ১১ জনকে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রশিক্ষণে যাওয়া ফুটবলাররা সেখানে কিছু ম্যাচও খেলেছিলেন। কিন্তু সেটি দীর্ঘ মেয়াদে খুব কাজে আসেনি বলে অভিযোগ আছে।