ধর্ষণের অভিযোগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার

ছবিটি প্রতীকী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে খেলা অভিযুক্ত দুজন খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি।রয়টার্স

এ সপ্তাহে ধর্ষণের অভিযোগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দুই খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। দুজনেই ১৯ বছর বয়সী এবং খেলেনও একই ক্লাবে। তাঁদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। জামিনে দুই খেলোয়াড় মুক্তিও পেয়েছেন। তবে তদন্ত এখনো চলছে।

আরও পড়ুন

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করার খবর নিশ্চিত করেছে। ব্রিটেনের আরেকটি সংবাদমাধ্যম ‘সান’ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন ক্লাবের স্টেডিয়ামে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। ধর্ষণে উৎসাহ দেওয়া এবং সাহায্য করার বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ক্লাবের মাঠ ছাড়ার পর সেই খেলোয়াড়কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।

পরদিন গ্রেপ্তার করা হয় অন্য সন্দেহভাজনকে। তাঁকেও ধর্ষণের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পুলিশের এক মুখপাত্র ‘সান’কে বলেছেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষণে উৎসাহ দেওয়া, সাহায্য করা এবং লাঞ্ছনার অভিযোগে ১৯ বছর বয়সী একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯ বছর বয়সী আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় ধর্ষণের অভিযোগে। জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দুজনেই।’

গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নিজেই পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন। সান জানিয়েছে, ‘ব্যাপারটা এখন পুলিশের হাতে থাকায় মন্তব্য করেনি’ গ্রেপ্তার হওয়া খেলোয়াড়দের ক্লাব।

আরও পড়ুন

মৌসুমের শুরুতে অন্য একটি ধর্ষণের অভিযোগের কথা জানিয়েছিল টেলিগ্রাফ স্পোর্ট। সে ঘটনায় প্রিমিয়ার লিগের এক খেলোয়াড়কে পুলিশ জানিয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা তদন্ত শুরু হবে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিষ্ঠিত সেই খেলোয়াড়কে ২০২২ সালে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে ‘তদন্ত সাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

গত শুক্রবার রাতে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নিজেই পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন।

ধর্ষণের অভিযোগে প্রিমিয়ার লিগে তারকা খেলোয়াড়ও গ্রেপ্তার হয়েছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার ম্যাসন গ্রিনউডকে ধর্ষণ ও লাঞ্ছনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর গ্রিনউডকে হেতাফেতে ধারে পাঠায় ইউনাইটেড। ম্যানচেস্টার সিটি ফুলব্যাক বেঞ্জামিন মেন্দির বিরুদ্ধেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। আদালতে শুনানির পর অভিযোগটি খারিজ করে দেওয়া হয়।