এক দুঃখ ভোলার আগে আরেক দুঃখ মিতুলের

বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাশামসুল হক

গোলপোস্টের নিচে নিজেকে প্রমাণ করেছেন একাধিকবার। সর্বশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে ছিলেন উজ্জ্বল। সব মিলিয়ে ১৫ ম্যাচের ৯টিতে ক্লিন শিট রেখেছেন। সে জন্য ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচে অনুমিতভাবেই মিতুলের ওপর আস্থা রাখেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কিন্তু ভুটান ম্যাচে তাঁর বিপক্ষে কোনো গোল না হলেও সিঙ্গাপুর ম্যাচে হয়েছে দুটি।

৪ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভুটানের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ। সেই জয়ের হাসি মুখে লেগে থাকতেই ৬ জুন বড় ভাইয়ের মৃত্যু সংবাদ পান মিতুল। সেই শোক নিয়েই গতকাল ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামেন।

আজ নিজের ফেসবুকে ভাই হারোনোর শোক বুকে নিয়ে মিতুল লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্তগুলো আমার ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে। আমাকে এমন কিছু জিনিসের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কিছুদিন আগে যখন আমার বড় ভাই মারা যান, তখন সত্যিই দুঃখ পেয়েছিলাম।’

সিঙ্গাপুর ম্যাচ শেষে সতীর্থদের সঙ্গে মিতুল
প্রথম আলো

ভাইয়ের মৃত্যুর পর টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে তাঁকে বলা হয়েছিল, চাইলে রাঙামাটির বাড়ি গিয়ে ভাইয়ের শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে যাননি মিতুল। দলের সঙ্গে অনুশীলন চালিয়ে যান। তাঁর আশা ছিল সিঙ্গাপুর ম্যাচে দারুণ কিছুর। শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। দুটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। যদিও ম্যাচে দুটি দারুণ সেভও ছিল মিতুলের। তারপরও হারের জন্য নিজেকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মিতুল। সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশও করলেন, ‘ভাই হারানোর শোক নিয়েও আমি দেশকে সেরাটা দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করি। চেষ্টা করেছি ম্যাচ অবদান রাখার, কিন্তু পারিনি। এ জন্য দুঃখিত এবং ক্ষমা চাচ্ছি। এটা আমার জন্য সত্যিই কঠিন সময় ছিল। ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন।’

আরও পড়ুন

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ আগামী অক্টোবরে। সবকিছু ঠিক থাকলে ৯ অক্টোবর হংকংকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাটিতে ম্যাচ। সে দুই ম্যাচে সুযোগ পেলে নিজেকে নিংড়ে দিতে চান, ‘বিশ্বাস রাখুন, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।’

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আজ মিতুলকে ফোন করা হলে জানান, বাড়ির পথে আছেন তিনি। কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।

আরও পড়ুন