শুধু খেলোয়াড় কেনা নয়, বিক্রিতেও শীর্ষে চেলসি

গত এক দশকে দলবদলের সময়ে এত দ্রুত আর কোনো ক্লাব এত বেশি খেলোয়াড় বিক্রি করেছে কি? যেটা চেলসি এই কয়েক দিনে করল।
উত্তর—সম্ভবত না।
মাত্র ১০ দিনের মধ্যে চেলসি বিক্রি করেছে ৬ জন খেলোয়াড়, অ্যাকাউন্টে জমা করেছে ১৯ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড। একে একে ক্লাব ছেড়েছেন কালিদু কুলিবালি, মাতেও কোভাচিচ, এদুয়ার্দো মেন্দি, কাই হাভার্টজ, রুবেন লফটাস-চিক ও ম্যাসন মাউন্ট। হাকিম জিয়েশের জন্য আসা সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের প্রস্তাব শেষ মুহূর্তে ফিরিয়ে না দিলে চেলসির খেলোয়াড় বিক্রির সংখ্যা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা, দুটোই বাড়ত।

আরও পড়ুন

কিছুটা বিস্ময়করই। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো সাধারণ খেলোয়াড় বিক্রি করে টাকা আয়ের জন্য পরিচিত নয়। তাদের যত নামডাক সব খরচের কারণেই। এই চেলসিই তো গত মৌসুম শুরুর আগেই খরচ করেছিল ২৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর মতো। তবে ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য অ্যাথলেটিকের একটি প্রতিবেদন বলছে, শুধু খরচেই নয়, খেলোয়াড় বিক্রি করে আয়েও গত এক দশকে ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে চেলসিই সেরা।

আরও পড়ুন

ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রান্সফারমার্কেটের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ এক দশকে (২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪) শুধু খেলোয়াড় বিক্রি থেকে চেলসির আয় ১৩৫ কোটি। এই সময়ে খেলোয়াড় কেনায়ও অবশ্য চেলসির খুব কাছাকাছি নেই কোনো ইংলিশ ক্লাব। একই সময় চেলসি খরচ করেছে ২০৯ কোটি ইউরো। খরচের বেলায় দ্বিতীয় স্থানটা ম্যানচেস্টার সিটির। সর্বশেষ এক দশকে যারা খেলোয়াড় কিনেছে ১৭০ কোটি ইউরোর। এই সময়ে সিটি খেলোয়াড় বিক্রি করেছে ৬৮ কোটি ৪৩ লাখ ইউরো।

খেলোয়াড় বিক্রি করে আয়ের হিসাবে ২০১৩-১৪ থেকে ২০২৩-২৪ দলবদল মৌসুম পর্যন্ত সিটির চেয়েও এগিয়ে লিভারপুল। এই সময় লিভারপুল বিক্রি থেকে আয় করেছে ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ইউরো, পাশাপাশি খেলোয়াড় কিনতে গিয়ে খরচ করেছে ১২০ কোটি।
খেলোয়াড় বিক্রি থেকে আয়ে চার, পাঁচ ও ছয় নম্বর স্থানগুলো যথাক্রমে টটেনহাম, এভারটন ও সাউদাম্পটনের। শীর্ষ দশে বাকি ক্লাবগুলো হলো লেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল ও উলভারহ্যাম্পটন।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে খরচের বেলায় চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটির পরেই আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (১৬৬ কোটি), আর্সেনাল (১২২ কোটি), লিভারপুল (১২০ কোটি)।

আরও পড়ুন