কাতার বিশ্বকাপে কি যেতে পারবেন আর্জেন্টিনার এই মিডফিল্ডার

রদ্রিগো দি পলছবি: রয়টার্স

বিশ্বকাপ জয়ের আশায় কাতারে যাবে আর্জেন্টিনা। সেই আশাকে পূর্ণ করার অভিযানে সামনে থাকবেন লিওনেল মেসি। কিন্তু মেসির কাছের সতীর্থ ও আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডে অন্যতম স্তম্ভ রদ্রিগো দি পলকে কি দেখা যাবে কাতারে?

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’ জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপের বিমান ধরতে হলে আতলেতিকো মাদ্রিদ মিডফিল্ডারকে সবার আগে আইনি ঝামেলা মেটাতে হবে।

সাবেক প্রেমিকা ক্যামিলা হোমসের সঙ্গে আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন রদ্রিগো দি পল। ওদিকে নভেম্বরে কাতারে শুরু হবে বিশ্বকাপ। দেশটির ভিসা পাওয়ার একটি শর্ত হলো, কোনো মামলার আসামি কিংবা আইনি অভিযোগ থাকা চলবে না। তবে রদ্রিগো যে আইনি ঝামেলায় জড়িয়েছেন, তা ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না।

সন্তানের দেখাশোনা এবং তার আর্থিক ভরণ–পোষণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন রদ্রিগো ও ক্যামিলা। কাতালান সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই ঝামেলাও তাঁকে কাতারে বিশ্বকাপে খেলার পথে বাধা তৈরি করতে পারে।

মেসির সঙ্গে মাঝমাঠে ভালো বোঝাপড়া রদ্রিগোর। আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল দুজনের
ফাইল ছবি: এএফপি

রদ্রিগোর এই বিষয় নিয়ে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার মন্তব্য প্রকাশ করেছে ‘মুন্দো দেপোর্তিভো’। তাপিয়া বলেছেন, ‘কাতারে যেতে হলে কোনোরকম ফৌজদারি মামলার অভিযোগ থাকা চলবে না, যেটার এখনো রায় হয়নি। কিংবা লিঙ্গবৈষম্য এবং এমন কোনো আইনি অভিযোগ থাকা যাবে না। ফিফার নিয়মনীতি পড়ে আমরা এটাই বুঝেছি।’

দুই সন্তান ফ্রান্সেসকা ও বাউতিস্তার ভরণ–পোষণের জন্য কয়েক সপ্তাহ আগে রদ্রিগোর বিরুদ্ধে মামলা করেন ক্যামিলা। এএফএ সভাপতি তাপিয়া কিন্তু আশাবাদী যে কাতার বিশ্বকাপের আগেই আইনি ঝামেলা মিটিয়ে ফেলবেন রদ্রিগো। তখন আর দেশটিতে যেতে সমস্যা হবে না।

তাপিয়া আরও বলেছেন, ‘আমি রদ্রিগো দি পলকে ভালোভাবেই চিনি। সন্তানের প্রতি তাঁদের ভালোবাসাটা আমি জানি। আমার মনে হয় সবকিছুই ভালোয় ভালোয় মিটে যাবে।’

তবে অন্য খবর জানিয়েছেন আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘টিওয়াইসি স্পোর্টস’–এর প্রতিবেদক গাস্তন এদুল। সেপ্টেম্বরে ফিফার ম্যাচ ও নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে রদ্রিগোর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন এই সংবাদকর্মী। ক্লদিও তাপিয়া নাকি তাঁকে জানিয়েছেন, রদ্রিগোর কাতার বিশ্বকাপে খেলার অনিশ্চয়তা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। কোথাকার জল কোথায় গড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।