লোহার পোশাক পরে আছি

পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোছবি: রয়টার্স

সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি। যা বলার, বিশ্বকাপ-ভাবনা আর পর্তুগাল ক্যারিয়ার নিয়েই বলার কথা। কিন্তু কাতারে আসার পরও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ঘিরে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-বিষয়ক আলোচনা।

গত সপ্তাহে পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া রোনালদোর একটি সাক্ষাৎকার প্রচার হয়েছে। যেখানে ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ থেকে শুরু করে ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তা ও মালিকপক্ষ গ্লেজার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছেন পর্তুগিজ তারকা।

আরও পড়ুন

যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বলছে, ক্ষুব্ধ ইউনাইটেড রোনালদোকে আর ওল্ড ট্রাফোর্ডে দেখতে রাজি নয়। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আপাতত রোনালদোর ওপরই ছেড়ে দিয়েছে ক্লাবটি।

রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধ্যায় শেষ হতে চলেছে, নাকি নাটকীয় কোনো দিকে মোড় নেবে—এ নিয়ে কৌতূহল ফুটবল–মহলে। সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা পর্তুগাল ফুটবলারদের তাই প্রতিদিনই শুনতে হচ্ছে রোনালদো-বিষয়ক প্রশ্ন।

বিশ্বকাপ খেলতে মাঠে নামার আগে রোনালদোকে পাওয়া যাবে না বলে ধারণা ছিল অনেকের। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে আজ দোহায় পর্তুগালের হয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রোনালদো।

কাতারের আল শাহানিয়া স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অনুশীলনে রোনালদো
ছবি: এএফপি

বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে ‘বোমা ফাটানো’ সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য সোজাসাপটা, ‘টাইমিং তো টাইমিংই। আমি কোন সময়টা বেছে নেব, এটা আপনাদের (সাংবাদিকদের) দিক থেকে ভাবাটা সহজ। আপনারা কখনো সত্য লেখেন, কখনো মিথ্যা লেখেন। অন্যরা আমাকে নিয়ে কী ভাবে, এ নিয়ে আমি দুশ্চিন্তা করি না। আমি যখন চাই, কথা বলি। সবাই জানে আমি কে, কী বিশ্বাস করি।’

যেকোনো ধরনের আক্রমণের মুখে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে জানিয়ে ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা যোগ করেন, ‘আমি যখন চাই, কথা বলি। আমি বুলেটপ্রুফ, লোহার পোশাক পরে আছি।’

আরও পড়ুন

পর্তুগাল দল কাতারে পা রাখার আগে ও পরে রোনালদো-বিষয়ক জিজ্ঞাসার মুখে পড়েছিলেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বের্নার্দো সিলভা ও রুবেন নেভেসরা। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী, ‘ক্রিস্টিয়ানো সম্পর্কে অন্যদের জিজ্ঞেস করবেন না। ওদের পর্তুগাল আর তাদের নিজেদের নিয়েই জিজ্ঞেস করুন।’

আরও পড়ুন

পর্তুগাল দলের বিশ্বকাপ অনুশীলনের একটি ভিডিও ক্লিপ দেখে ব্রুনোর সঙ্গে রোনালদোর দূরত্বের ধারণা করেছেন অনেকে।

তাঁর আশপাশে জড়িত সবই বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় মন্তব্য করে রোনালদো দাবি করেন, ব্রুনোসহ পর্তুগাল দলের কারও সঙ্গেই তাঁর দূরত্ব নেই, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে এ ধরনের বিতর্ক সব সময়ই হয়। কিন্তু ব্রুনোর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আসলে ক্রিস্টিয়ানোর চারপাশে থাকা সবকিছু নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়। কিন্তু আমি বলছি, দলের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক।’