৯ গোলের থ্রিলারে এমবাপ্পেকে হারিয়ে ফাইনালে রোনালদোকে পেলেন ইয়ামাল
অবিশ্বাস্য! নেশনস লিগের সেমিফাইনালে ফ্রান্স ও স্পেনের মধ্যে গতকাল রাতে যা হয়েছে, তাঁকে বোধ হয় এই একটি শব্দেই বোঝানো যায়। স্টুটগার্টে ম্যাচের ৫৮ মিনিটেও স্পেন এগিয়ে ছিল ৪-০ গোলে। মনে হচ্ছিল, ফ্রান্সকে গুঁড়িয়ে দিয়েই বোধ হয় ফাইনালের টিকিট কাটবে স্পেন।
কিন্তু কে জানত, অনবদ্য এক নাটকীয়তা তখনো অপেক্ষা করছে সবার জন্য; যে নাটকে শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে স্পেন জিতেছে ঠিকই। কিন্তু আরেকটু হলে ঘুরে দাঁড়ানোর রূপকথার গল্পটা প্রায়ই লিখেই ফেলেছিল ফরাসিরা।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে স্পেন এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। গোল করেন নিকো উইলিয়ামস ও মিকেল মেরিনো। বিরতির পর ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইয়ামাল করেন দলের তৃতীয় গোল। এক মিনিট পর ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন পেদ্রি।
ম্যাচে ফ্রান্স যখন ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে, তখন অনেকে ফলটা অনুমান করে হয়তো খেলা দেখাই বন্ধ করে দেন। কিন্তু এরপরই শুরু হয় ম্যাচের রূপ বদল। ৫৯ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ফ্রান্সের হয়ে ব্যবধান ৪-১ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ফ্রান্সের ব্যবধান কমানোর চেষ্টার মধ্যেই ৬৭ মিনিটে স্পেনের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ইয়ামাল। কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনি ফ্রান্স। ৭৯ মিনিটে রায়ান শেরকি এবং ৮৪ মিনিটে দানি ভিভিয়ানের গোলে ব্যবধান ৫-৩ করে ফ্রান্স। এরপর যোগ করা সময়ে রানদাল কোলো মুয়ানি করেন নিজেদের চতুর্থ গোল।
অর্থাৎ যে ম্যাচে ফ্রান্স ৪-০ ও ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল, সেই একই ম্যাচে ব্যবধান তখন ৫-৪। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও অবশ্য কাঙ্ক্ষিত পঞ্চম গোলটি করে ম্যাচে ফেরা হয়নি ফ্রান্সের। কিন্তু সাদামাটা ও একতরফা ম্যাচে প্রাণ ফেরানোর কৃতিত্ব তাদের দিতেই হবে।
এই জয়ে এমবাপ্পের দলকে আরও একবার হারানোর স্বাদ পেলেন ইয়ামাল। এ নিয়ে সব মিলিয়ে ছয়বার এমবাপ্পের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই জিতলেন ইয়ামাল। এখন রোববার রাতের ফাইনালে ইয়ামালের স্পেন মুখোমুখি হবে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের।
ফাইনালে রোনালদোর মুখোমুখি হওয়া নিয়ে জানতে চাইলে ম্যাচ শেষে ইয়ামাল বলেছেন, ‘রোনালদোর বিপক্ষে খেলার কথা বলছেন? সে একজন কিংবদন্তি। আমি আমার কাজটা করব, যেটা হচ্ছে ম্যাচ জেতানো।’