খেলার সূচি







দল পরিচিতি
অস্ট্রেলিয়া: যেতে চায় বহুদূর
কঠিন এক পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল। বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে টানা ৮ ম্যাচ জিতেছিল দেশটি। এরপর তৃতীয় রাউন্ডে গ্রুপ ‘বি’তে সৌদি আরব ও জাপানের পেছনে থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়। এশীয় প্লে–অফে আরব আমিরাতকে হারিয়ে নিশ্চিত করে আন্তমহাদেশীয় প্লে–অফ। পেরুর বিপক্ষে সেই ম্যাচে টাইব্রেকার–ভাগ্যে তরি পার হয় সকারুরা। সেদিন শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি বিশেষজ্ঞ গোলরক্ষক অ্যান্ড্রু রেডমেইনকে নামিয়ে চমক দেখান কোচ গ্রাহাম আরনল্ড। কোচের আস্থার প্রতিদানও দেন রেডমেইন। পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেশকে নিয়ে যান বিশ্বকাপে। ২০০৬ সাল থেকে সব বিশ্বকাপেই অংশ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডেও খেলেছিল। সেবার শেষ মুহূর্তে ফ্রান্সেসকো টট্টির পেনাল্টি গোলে হৃদয় ভেঙেছিল টিম কাহিলদের। গ্রুপ ‘ডি’ থেকে সেই সাফল্যকে স্পর্শ করার ভালোই সুযোগ আছে অস্ট্রেলিয়ার।
শক্তি
কোচ গ্রাহাম আরনল্ডের ‘অসি স্পিরিট’ই দেশটির আসল শক্তি। বিশ্বকাপ বাছাইয়েও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেখা মিলেছে এই স্পিরিটের। এ ছাড়া দলটিতে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ও দারুণ। এখন শুধু মাঠে জ্বলে ওঠার অপেক্ষা।
দুর্বলতা
গোল করায় বড় দুর্বলতা আছে অস্ট্রেলিয়ার। বাছাইপর্বে স্কোরিংয়ের কারণে সৌদি আরব ও জাপানের বিপক্ষে ম্যাচে ভুগতে হয়েছে। পাশাপাশি টিম কাহিলের মতো ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে চমক দেখানোর মতো খেলোয়াড়ও খুব বেশি নেই দলটিতে।
প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
প্রত্যাশা অন্তত দ্বিতীয় রাউন্ড। বড় কোনো নাটকীয়তা না হলে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের পর্বে যেতে অস্ট্রেলিয়াকে লড়তে হবে ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়ার সঙ্গে।
এক নজরে
স্কোয়াড


