ফ্রান্স: শিরোপা ধরে রাখা অসম্ভব নয়
ফ্রান্স

খেলার সূচি

ডি
আল জানুব স্টেডিয়াম, আল ওয়াকরা
ফ্রান্স
ফ্রান্স
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া
২২ নভেম্বর
রাত ১টা
ডি
স্টেডিয়াম ৯৭৪, দোহা
ফ্রান্স
ফ্রান্স
ডেনমার্ক
ডেনমার্ক
২৬ নভেম্বর
রাত ১০টা
ডি
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম, আল রাইয়ান
তিউনিসিয়া
তিউনিসিয়া
ফ্রান্স
ফ্রান্স
৩০ নভেম্বর
রাত ৯টা

দল পরিচিতি

ফ্রান্স: শিরোপা ধরে রাখা অসম্ভব নয়

একঝাঁক তারকা নিয়ে ২০১৮ বিশ্বকাপে বাজিমাত করেছিল ফ্রান্স। দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জিতে নিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। কাতারেও এবারও ফেবারিট হিসেবে খেলতে যাবে দিদিয়ের দেশমের দল। গতবার বিশ্বমঞ্চ কাঁপানো তারকারা এখন আরও অভিজ্ঞ ও পরিণত। সঙ্গে তারুণ্যের জয়গানও রয়েছে। বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখা তাই ফ্রান্সের জন্য একেবারে অসম্ভব কিছু নয়। তবে ফ্রান্সের বড় ভয় ইতিহাস। আর ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর ২০০২ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ফ্রান্সকে। সেবার সেনেগালের কাছে প্রথম ম্যাচে হেরে বসেছিল জিনেদিন জিদানের দলকে। এমনকি গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি ফরাসিরা।

ইতিহাস অবশ্য বদলানোর জন্যই। এবার নিশ্চয়ই অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দারুণ কিছু করে দেখাতে চাইবে ফ্রান্সও। ২০১২ সাল থেকে এই দলের সঙ্গে কোচ দিদিয়ের দেশম। দলের নাড়িনক্ষত্র সবই যে তাঁর জানা। আঁতোয়ান গ্রিজমান-কিলিয়ান এমবাপ্পেদের নায়ক হয়ে ওঠা তো তাঁর হাত ধরে। পাঁচ বছর ধরে ব্রাত্য হয়ে থাকা করিম বেনজেমাও এবার থাকবেন দলের সঙ্গে। কিছুদিন আগে যিনি জিতেছেন ব্যালন ডি’অর। ২০১৮ বিশ্বকাপে দর্শকের ভূমিকায় থাকায় বেনজেমা সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপটাকে রাঙানোর অপেক্ষায় আছেন। অনেক উপেক্ষার জবাবও যে দেওয়ার আছে তাঁর। আর গত বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক এমবাপ্পে-গ্রিজমানও চাইবেন আরেকবার নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে। বিশ্বকাপ রাঙাতে তাই মরিয়া থাকবেন তাঁরাও।

দলের শক্তি

ফরোয়ার্ডরাই ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় শক্তি। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা বেনজেমা ও এমবাপ্পে থাকবেন ফ্রান্সের আক্রমণভাগে। নিজেদের দিনে তাঁদের যেকোনো একজনই পারেন ম্যাচের গতিপথ বদলে দিতে। শুধু আক্রমণভাগেই নয়, অন্য একাধিক পজিশনেও বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে ফ্রান্সের। দলটির আরেকটি বড় শক্তি, তাদের মানসম্পন্ন বিকল্প খেলোয়াড়, যা বিশ্বকাপে অন্য ফেবারিটদের চেয়ে কিছুটা এগিয়েই রাখবে ফ্রান্সকে।

দুর্বলতা

ডান পাশের উইং ব্যাক পজিশনে পরীক্ষায় পড়তে হতে পারে ফ্রান্সকে। এক বছর ধরে এই পজিশনে বেঞ্জামিন পাভার, জুলস কুন্দে এবং কিংসলে কোমানকে বাজিয়ে দেখেছেন দেশম। যদি বিশ্বকাপে উইং ব্যাক থেকে ঠিকঠাক ফল না আসে, তবে ভুগতে হতে পারে দলটিকে। চোটও ফ্রান্সের স্কোয়াডকে দুর্বল করে দিতে পারে। গত বিশ্বকাপের অন্যতম নায়ক এনগোলো কান্তের বিশ্বকাপ শেষ। এ ছাড়া বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে চোটের সঙ্গে লড়ছিলেন পগবা-ভারানে-হার্নান্দেজের মতো তারকারাও।

প্রত্যাশা ও বাস্তবতা

বিশ্বকাপ ধরে রাখাই ফ্রান্সের সাফল্যের একমাত্র মানদণ্ড। সেটি করার সামর্থ্যও আছে দলটির। ব্যক্তিগত ও দলীয় নৈপুণ্যে এখন কেবল একসঙ্গে জ্বলে ওঠার অপেক্ষা।...আরও

স্কোয়াড

দিদিয়ের দেশম
দিদিয়ের দেশম
কোচ
কিলিয়ান এমবাপ্পে
কিলিয়ান এমবাপ্পে
ফরোয়ার্ড
উগো লরিস
উগো লরিস
গোলরক্ষক

এক নজরে

ফিফা র‍্যাঙ্কিং
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ
১৫
বিশ্বকাপে জয়ী
বেঞ্জামিন পাভার
বেঞ্জামিন পাভার
ডিফেন্ডার
আজেল দিসাসি
আজেল দিসাসি
ডিফেন্ডার
রাফায়েল ভারান
রাফায়েল ভারান
ডিফেন্ডার
জুলস কুন্দে
জুলস কুন্দে
ডিফেন্ডার
ইউসুফ ফোফানা
ইউসুফ ফোফানা
ডিফেন্ডার
উইলিয়াম সালিবা
উইলিয়াম সালিবা
ডিফেন্ডার
দায়োত উপামেকানো
দায়োত উপামেকানো
ডিফেন্ডার
লুকাস এরনান্দেজ
লুকাস এরনান্দেজ
ডিফেন্ডার
থিও এরনান্দেজ
থিও এরনান্দেজ
ডিফেন্ডার
ইব্রাহিমা কোনাতে
ইব্রাহিমা কোনাতে
ডিফেন্ডার
মাত্তেও গেন্দুজি
মাত্তেও গেন্দুজি
মিডফিল্ডার
অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি
অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি
মিডফিল্ডার
আদ্রিয়াঁ রাবিও
আদ্রিয়াঁ রাবিও
মিডফিল্ডার
জর্দান ভেরেতু
জর্দান ভেরেতু
মিডফিল্ডার
এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গা
এদুয়ার্দ কামাভিঙ্গা
স্টিভ মাঁদাঁদা
স্টিভ মাঁদাঁদা
গোলরক্ষক
আঁতোয়ান গ্রিজমান
আঁতোয়ান গ্রিজমান
ফরোয়ার্ড
অলভিয়ের জিরু
অলভিয়ের জিরু
ফরোয়ার্ড
উসমান দেম্বেল
উসমান দেম্বেল
ফরোয়ার্ড
রান্দাল কোলো মুয়ানি
রান্দাল কোলো মুয়ানি
ফরোয়ার্ড
কিংসলি কোমান
কিংসলি কোমান
ফরোয়ার্ড
মার্কাস থুরাম
মার্কাস থুরাম
ফরোয়ার্ড