খেলার সূচি
দল পরিচিতি
মরক্কো: অননুমেয় আটলাসের সিংহ
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর প্রায় তিন মাস আগে বসনিয়ান কোচ ভাহিদ হালিলহজিচকে ছাঁটাই করে মরক্কো। চেলসি তারকা হাকিম জিয়েশ ও বায়ার্ন মিউনিখ ডিফেন্ডার নুসাইর মাজরাউয়ির সঙ্গে বাজে সম্পর্কের বলি হন এই কোচ। তাঁর প্রস্থানের পর জিয়েশ ও মাজরাউয়ি ফিরেও আসেন। কোচের দায়িত্ব নেন আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুই। তাঁর অধীনে কাতার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে খুব কম সময়ই পেয়েছে মরক্কো। কে জানে, এটাই কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে!
বিশ্বকাপে একবারই গ্রুপ পর্ব পেরোতে পেরেছে মরক্কো। সেটি ১৯৮৬ বিশ্বকাপে। এর বাইরে তিনবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে দলটি। আশরাফ হাকিমি–হাকিম জিয়েশদের নিয়ে এবার মরক্কো কেমন করবে, তার পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন।
শক্তি
চেলসির অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েশকে থামানো কঠিন হবে। ডান প্রান্ত দিয়ে বুলেট গতিতে ছুটতে অভ্যস্ত পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমি। তাঁর ক্রসগুলো ঠেকানোর পরীক্ষা দিতে হবে প্রতিপক্ষকে। মাঝেমধ্যে কাট ইন করে ভেতরেও ঢোকেন হাকিমি। এর পাশাপাশি সেভিয়া গোলকিপার বুনু ম্যাচের গতিপ্রকৃতিও ভালো বোঝেন। বড় স্ট্রাইকারদের পরীক্ষা নিতে অভ্যস্ত বোনো।
দুর্বলতা
নতুন কোচ আসার পর মরক্কো এখনো দল হয়ে উঠতে পারেনি। সেভিয়া ফরোয়ার্ড ইউসুফ এল–নেসেরির ধারাবাহিকতার সমস্যা আছে। রক্ষণেও মরক্কো তেমন পটু নয়। সেট পিস ও থ্রু পাস ঠেকানোয় দুর্বলতা আছে।
প্রত্যাশা ও বাস্তবতা
গ্রুপে বেলজিয়াম ও ক্রোয়েশিয়ার মতো প্রতিপক্ষ আছে। মরক্কোর প্রত্যাশা শেষ ষোলো হলেও বাস্তবতা বলছে, গ্রুপ পর্ব থেকেই তাদের বিদায় নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।...আরও