লুটনকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি

হলান্ডের গোলের পর ম্যান সিটির খেলোয়াড়দের উচ্ছ্বাসএএফপি

কী হয়েছে আর্লিং হলান্ডের-এমন প্রশ্ন ম্যানচেস্টার সিটির সমর্থকেরা করতেই পারেন। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ছিলেন নিষ্প্রভ। প্রিমিয়ার লিগে আজ গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। তবে ম্যানচেস্টার সিটির কোনো ক্ষতি এতে হয়নি। লুটনকে ৫-১ গোলে হারিয়ে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে গেছে সিটি।

লুটনের বিপক্ষে এই জয়ে ৩২ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট হয়েছে ৭৩। এক ম্যাচ কম খেলে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল আছে তৃতীয় স্থানে। আগামীকাল লিভারপুল নিজেদের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে খেলবে আর আর্সেনাল আতিথ্য দেবে ৩২ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা অ্যাস্টন ভিলাকে। চতুর্থ স্থানে থেকে লিগ শেষ করার দৌড়ে থাকা টটেনহাম আজ ৪-০ গোলে হেরে গেছে নিউক্যাসলের কাছে। ৩২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬০।

লুটনের বিপক্ষে ম্যান সিটির প্রথম গোলটি হাশিওকার আত্মঘাতী। ৬৪ মিনিটে পেপ গার্দিওলার দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন মাতেও কোভাচিচ। পেনাল্টি থেকে ৭৬ মিনিটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন হলান্ড। সিটিকে পেনাল্টিটি এনে দেন জেরেমি ডকু। এরপর স্কোরশিটে নাম লেখান ডকু ও গাভারদিওল।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল পেতে পারতেন হলান্ড। প্রায় মাঝমাঠের কাছ থেকে কেভিন ডি ব্রুইনা থ্রু বল বাড়িয়েছিলেন তাঁকে। বল নিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। তখন তাঁর সামনে শুধু লুটনের গোলকিপারই ছিলেন। কিন্তু তিনি বল মারেন গোলকিপারের গায়ে। সেই বল চলে যায় ডকুর কাছে। তাঁর নেওয়া শট লুটনের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে যায় হলান্ডের কাছে। তাঁর ভলি দিকভ্রষ্ট হয়ে গিয়ে লাগে হাশিওকার মাথায়। বল চলে যায় লুটনের জালে।

লুটনকে উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে সিটি
এএফপি

১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও গোল পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে তাদের দ্বিতীয় গোলের অপেক্ষা ফুরায় ৬৪ মিনিটে। এই গোলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ডকুর নাম। আলভারেজের কর্নার থেকে তাঁরই সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে সামনে এগিয়ে যান ডকু। এক পর্যায়ে তিনি আলভারেজকে বল ফেরত দেন। আলভারেজ বল ক্রস দেন বক্সের ঠিক বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কোভাচিচকে। কোভাচিচ দুর্দান্ত এক ভলিতে সিটিকে এগিয়ে দেন ২-০তে।

এরপর পেনাল্টি থেকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন হলান্ড। সেই পেনাল্টিও এনে দেন ডকু। বক্সের মধ্যে তাঁকে রুখতে ফাউল করেছিলেন লুটনের ওনিয়েদিনমা। আর ৮৭ মিনিটে সিটির চতুর্থ গোলটি করে স্কোরশিটে নাম লেখান ডকু। গোলটি তিনি করেছেন গাভারদিওলের পাস থেকে। এরপর যোগ করা সময়ে ডকুর পাস থেকে সিটির পঞ্চম গোলটি করেছেন গাভারদিওল। এর আগে ৮১ মিনিটে একটি গোল ফেরত দেয় লুটন।