বেনজেমা চোট পেলেও বড় জয় রিয়ালের

ভিনিসিয়ুসের গোলের পর রিয়ালের উদ্‌যাপনছবি: উয়েফা

সেল্টিক পার্কে চতুর্থবারের চেষ্টায় তুলে নেওয়া জয়ে খুশি হওয়ার কথা রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির। করিম বেনজেমা চোট পাওয়ায় একটু দুশ্চিন্তাও থেকে যাচ্ছে। এটুকু বাদ দিলে সেল্টিকের বিপক্ষে রিয়ালের ৩-০ গোলের জয়কে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে ভালো শুরু বলাই যায়।

স্কোরলাইন দেখে বোঝার উপায় নেই, ম্যাচে সেল্টিক দারুণ ফুটবল খেলেছে, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। তাতে ম্যাচটা রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে দর্শকদের জন্য। কিন্তু রিয়ালের বিপক্ষে একাধিক গোল মিস করলে খেসারত তো দিতেই হবে। বিরতির পর হজম করতে হয় লুকা মদরিচ, ভিনিসিয়ুস ও এডেন হ্যাজার্ডের গোল।

প্রথমার্ধে স্কটিশ চ্যাম্পিয়নদের প্রেসিং ফুটবল এবং প্রতিআক্রমণের সঙ্গে পেরে ওঠেনি রিয়াল। শুরুতেই লিয়েল আবাদা গোল করে এগিয়ে দিতে পারতেন সেল্টিককে। তাঁর একটি শট এডের মিলিতাওয়ের গায়ে লেগে লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়। পরে আরেকটি সুযোগ থেকে রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার গ্লাভস বরাবর দুর্বল শট করেন।

ভিনিকে আটকানোর পরীক্ষা দিতে হয় সেল্টিক ডিফেন্সকে
ছবি: টুইটার

সুযোগ রিয়ালও পেয়েছে। ৩০ মিনিটে বেনজেমা হাঁটুর চোটে মাঠ ছাড়ার পর বদলি হয়ে নামেন বেলজিয়ান তারকা এডেন হ্যাজার্ড। নেমেই সহজ জায়গা থেকে গোলে শট নিতে পারেননি। বিরতির পর খেলার শুরুতে সেল্টিকের দাইজেন মায়েদা গোল করতে পারলে ফল স্কোরলাইন অন্যরকম হতে পারত। রিয়াল এরপরই ম্যাচের রাশ নিয়ে নেয়।

৫৬ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ফেদে ভালভার্দের ক্রসে গোল করেন ভিনিসিয়ুস। ২২টি টানা পাসের পর ফল ব্রাজিলিয়ানের এই গোল। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর প্রতিপক্ষের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে এটাই সর্বোচ্চ পাসের গোল রিয়ালের।

গোলের পর হ্যাজার্ড
ছবি: উয়েফা

চেলসিতে বল পায়ে দুর্দান্ত হ্যাজার্ডের খানিকটা আজ দেখা গেল রিয়ালের জার্সিতে। ভিনির গোলের ৪ মিনিট পর মাঝ মাঠ থেকে দুর্দান্ত এক সলো মুভে মদরিচকে পাস দেন বেলজিয়ান তারকা। গোল করতে অসুবিধা হয়নি ক্রোয়েশিয়ান তারকার।

৭৭ মিনিটে দানি কারবাহলের কাটব্যাক থেকে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন হ্যাজার্ড। রিয়ালের হয়ে ৬৯ ম্যাচে এটি হ্যাজার্ডের ৭ম গোল। ২০২০ সালে নভেম্বরের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল পেলেন হ্যাজার্ড।

‘এফ’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে লাইপজিগের মাঠে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে শাখতার দোনেৎস্ক।