অবশেষে ‘সোনার হরিণ’ হাতে পেলেন রাকিব

কম্বোডিয়ার বিপক্ষে গোল করার পর রাকিববাফুফে

২০১৯ সালে জাতীয় দলে তাঁর অভিষেক। সেই থেকে ১০–১২টি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু কখনো জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করতে পারেননি। সেই গোলের দেখা অবশেষে পেলেন রাকিব হোসেন। আজ কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ ১–০ গোলে জিতেছে তাঁর গোলেই।

নমপেনের স্টেডিয়াম ছেড়ে হোটেলে ফিরে রাকিব ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজকের ম্যাচে জয় পেতে সবাই বেশিই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সবাই কঠিন পরিশ্রম করেছে। কারণ, সবাই চেয়ছে জয় নিয়েই আমরা যেন কম্বোডিয়া ছাড়তে পারি।’

বরিশাল সদর থেকে উঠে আসা রাকিব এখন বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড। কারও কারও চোখে রাকিবের চেয়ে ভালো উইঙ্গার এই মুহূর্তে নেই বাংলাদেশে। তাঁর গতি খুব ভালো, প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙতে পারেন। মালদ্বীপে গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর খেলা অনেকেরই চোখ কেড়েছে। সেই রাকিব আজ দলকে জিতিয়ে খুশি। বললেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোলের আনন্দই আলাদা। মনে হচ্ছে যেন একটা সোনার হরিণ ধরলাম। এই ম্যাচটা আমাদের দরকার ছিল। ভালো ফুটবল খেলেই আমরা জয় পেয়েছি।’

গোলের পর রকিবকে (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) ঘিরে দলের উচ্ছ্বাস
বাফুফে

বাংলাদেশের কোচ হিসেবে হাভিয়ের কাবরেরারও এটি প্রথম জয়। তাঁর অধীনে প্রথম ছয় ম্যাচে চার হার, দুই ড্র। আজ কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জিতে খানিকটা নির্ভার তরুণ এই স্প্যানিশ কোচ ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘ম্যাচটি জিততে পেরে আমি দারুণ খুশি। ছেলেরা ঢাকায় তিন সপ্তাহ অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছে। সেটারই ফলে তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছে।’

আরও পড়ুন

২৩ মিনিটে রাকিব গোল করে এগিয়ে নেন বাংলাদেশকে। সেই গোল ধরে রেখেই ম্যাচ শেষ করতে পারা কোচের কাছে স্বস্তির। ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথমার্ধ আমাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। কম্বোডিয়া ভালো খেলেছে। তবে আমরা রাকিবের গোলে এগিয়ে যাই এই অর্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভালো খেলেছি। তাই ব্যবধান ২–০ হতে পারত।’

তবে ব্যবধান নয়, জিততে পেরেই খুশি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। তাঁর কথা, ‘এই জয়টা দরকার ছিল আমাদের। অনূর্ধ্ব–২০, মেয়েরা—সবাই ভালো করেছে। এখানে আমরা খারাপ করলে ভাবমূর্তি নষ্ট হতো। আমরা চেয়েছি, মেয়েদের সঙ্গে আনন্দটা ভাগাভাগি করতে।’

বাংলাদেশ দল নমপেন থেকে আগামীকাল বেলা ১১টায় নেপালে যাবে। কাঠমান্ডুতে নেপালের সঙ্গে ২৭ সেপ্টেম্বর ফিফা প্রীতি ম্যাচ।

আরও পড়ুন