হলান্ডের ঘাড়ে চেপে উদ্‌যাপন করা সেই আগন্তুক কে

হলান্ডের সঙ্গে উদ্‌যাপন করছেন টেরি ফ্লানাগানছবি: ইনস্টাগ্রাম

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত রোববার শেফিল্ড ইউনাইট–ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচের ঘটনা। শেফিল্ড ইউনাইটেডের মাঠ ব্রামল লেনে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলছিল তখন। একের পর এক আক্রমণে শেফিল্ডের রক্ষণ কাঁপিয়েও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ম্যানচেস্টার সিটি। শেফিল্ড রক্ষণে গিয়ে বারবার নিরাশ হতে হচ্ছিল আর্লিং হলান্ডকেও। এর আগে পেনাল্টি মিস করা সিটি স্ট্রাইকার বেশ চাপেও ছিলেন।

শেষ পর্যন্ত ৬৩ মিনিটে গিয়ে ভাঙল ডেডলক। জ্যাক গ্রিলিশের ক্রসে জোরালো হেডে সেই হলান্ডই এগিয়ে দিলেন সিটিকে। গোল করে উদ্‌যাপন শুরুর আগে একটু স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছিলেন এই নরওয়েজীয় তারকা। ঠিক তখনই আচমকা কালো টি–শার্ট পরা এক ব্যক্তি লাফিয়ে পড়েন হলান্ডের ঘাড়ে। প্রথমে মনে হচ্ছিল সেই ব্যক্তি হয়তো সাপোর্টিং স্টাফের কোনো সদস্য হবেন। তাঁর সঙ্গে সাবলীলভাবে হলান্ডও উদ্‌যাপন শুরু করলে সেই অনুমান আরও বাড়ে। সে সময় সিটির অন্য খেলোয়াড়দেরও এই দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন

রতবে ভুল ভাঙতে খুব বেশি সময় লাগেনি। একটু পর নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এসে সরিয়ে নেন মাঠে ঢুকে পড়া সেই আগন্তুককে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। মাঠে নিরাপত্তার ফাঁদ এড়িয়ে সমর্থকের ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। তাঁদের মুহূর্তের মধ্যে আবার সরিয়েও নেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কিন্তু সেদিনের ঘটনাটি ছিল একটু ব্যতিক্রম। ম্যান সিটির ‘পাগলা’ সমর্থকই ঢুকে পড়েছিলেন বটে।

কিন্তু তিনি কোনো সাধারণ সমর্থক নন। হলান্ডের ঘাড়ে চেপে উদ্‌যাপন করা সেই ব্যক্তি ছিলেন বক্সিংয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টেরি ফ্লানাগান; যাঁকে সেই মুহূর্তে নিরাপত্তারক্ষীরাও চিনতে পারেননি। সাধারণ পাগলাটে সমর্থক ভেবেই মূলত দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হয় তাঁকে। অবশ্য চিনলেও এর ব্যতিক্রম কিছু হয়তো নিরাপত্তারক্ষীরা করতেন না। ফ্লানাগান যা করেছেন, তা যে রীতিমতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বক্সার ফ্লানাগান ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ডব্লুবিও লাইটওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। ইংলিশ বক্সার হিসেবে তিনিই প্রথম এ বিভাগে বৈশ্বিক শিরোপা জেতেন। এর আগে ২০১৪ সালে ব্রিটিশ লাইটওয়েট শিরোপাও জিতেছিলেন ফ্লানাগান। আর ২০১২ সালে তিনি জিতেছিলেন প্রাইজফাইটার টুর্নামেন্টও। বক্সিং ক্যারিয়ারে ৩৮টি ফাইটের ৩৬টিতেই জিতেছিলেন ফ্লানাগান।

আরও পড়ুন

সিটির ভক্ত হিসেবে আগে থেকেই পরিচিতি ছিল ফ্লানাগানের। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হলান্ডের সঙ্গে তিনি উদ্‌যাপনের ছবিও পোস্ট করেছেন। এই ছবির ক্যাপশনে অবশ্য কিছু লেখেননি। শুধু ভালোবাসার ইমোজি দিয়েই নিজে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, হলান্ডের সঙ্গে ছবিটি পোস্ট করার আগে প্রায় দুই বছর তিনি কোনো ছবি পোস্ট করেননি।