আজ যেভাবে বদলে যেতে পারে ফুটবল
বলা হয়, ফুটবলের যাত্রা নন্দন থেকে বন্ধনের দিকে। সেই বন্ধনে ফুটবল কিছুটা সৌন্দর্য হারালেও এর ফলে এসেছে নিয়মতান্ত্রিকতা ও শৃঙ্খলা। এর মধ্য দিয়ে ফুটবলে মানবিক ভুলের পরিমাণও অনেকটা কমে গেছে।
ফুটবলের বদলে যাওয়া চিত্রটি আরও নতুন রূপ নিতে পারে আজ থেকে। আজ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধির প্রবর্তন নিয়ে বৈঠকে বসবে।
এ বৈঠকে ম্যাচের কোনো ঘটনায় রেফারির সঙ্গে কথা বলা, নীল কার্ডের ব্যবহার এবং রেফারির শরীরে ক্যামেরা বসানোসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত মাঠে খেলোয়াড়দের আচরণ উন্নত করা এবং রেফারির সম্মান রক্ষার্থে নেওয়া হবে এসব উদ্যোগ। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা শুধু রেফারির অবস্থানকেই দৃঢ় করবে না, বরং ফুটবলেও সামগ্রিক বদল নিয়ে আসবে।
এই বৈঠক ফলপ্রসূ হলে আগামী মৌসুম থেকে কোনো দলের কিছু বলার থাকলে কেবল অধিনায়ককে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের প্রতিবাদ শাস্তিযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে এবং হলুদ কার্ড দেখানো হবে। পাশাপাশি আধা স্বয়ংক্রিয় অফসাইড প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে আজ, যা কিনা রেফারির সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে। আলোচ্য বিষয়ে আছে নীল কার্ড চালু করার বিষয়টিও।
এটা হলুদ কার্ড ও লাল কার্ডের মাঝামাঝি একটি বিষয়। কোনো খেলোয়াড় নীল কার্ড দেখলে তাঁকে ১০ মিনিট মাঠের বাইরে থাকতে হবে। আইএফএবি পেশাদার ফুটবলে এই কার্ড প্রবর্তন করার পক্ষে। কিন্তু ফিফা আবার এ নিয়ে ভিন্নমত জানিয়েছে। তারা এটিকে নিচের স্তরের প্রতিযোগিতায় সীমাবদ্ধ রাখার ব্যাপারে মত দিয়েছে। এ ছাড়া ইয়ুর্গেন ক্লপের মতো কোচও নীল কার্ডের বিরোধিতা করেছেন।
এই বৈঠকে আলোচিত হবে রেফারির জামায় ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি নিয়েও। এই ক্যামেরা রেফারির আশপাশে যা ঘটবে, সবকিছু সম্পর্কে ধারণ করবে। এটা করা হবে মূলত রেফারিকে রক্ষা করতে এবং তাঁকে ঘিরে হওয়া প্রতিবাদকে প্রশমিত করতে। আইএফএবি নিশ্চিত করেছে যে, তারা খেলার কিছু নিয়মের স্পষ্টীকরণকেও কর্মতালিকায় রেখেছে। সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন দেখা যেতে পারে আগামী ১ জুলাই থেকে। এর বাইরে মাঠে সময় নষ্ট করা, ভিএআরের পরিবর্তনসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে এ বৈঠকে।
খেলার নিয়মের পরিবর্তনগুলো সাধারণত আইএফএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় হয়ে থাকে। আজকের বৈঠকটিও তেমনই। তবে আইএফএবির সিদ্ধান্তের অনুমোদন পেতে তিন–চতুর্থাংশ ভোট প্রয়োজন। যেখানে ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড একটি করে ভোট দিতে পারে। এ ছাড়া ২০৭টি ফেডারেশনকে নিয়ন্ত্রণ করা ফিফার হাতে আছে চারটি ভোট।