আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের রহস্য জানালেন বেঞ্চের গোলকিপার

বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে আরমানিছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বকাপের ৭ ম্যাচে এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক ফ্রাঙ্কো আরমানির। মাঠে না নেমেও আরমানি অবশ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া তারকাদের একজন। তবে মাঠে নেমে না খেললেও বিশ্বকাপ জয়ে মাঠের বাইরে থেকে ঠিকই অবদান রেখেছেন রিভার প্লেটের এই গোলরক্ষক। ম্যাচের আগে সবাই একসঙ্গে বসে পেনাল্টি শুটআউটের পরিকল্পনা করতেন বলে জানিয়েছেন আরমানি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপে নিজেদের কৌশল কীভাবে ঠিক করতেন, তা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘গোলরক্ষকেরা প্রতিপক্ষ, স্ট্রাইকার, সম্ভাব্য পরিবর্তন ও পেনাল্টিকে বিশ্লেষণ করেছে। তারা কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করে, সেটা যাছাই করেছি এবং সেভাবে ম্যাচের আগের দিন আমরা অনুশীলন করেছি। ছেলেরা শট নিত এবং আমরা বিষয়টিকে সব সময় গুরুত্বের সঙ্গে নিতাম।’

আরও পড়ুন

নিজের যেকোনো মতামত ও উপলব্ধির কথা মার্তিনেজকে জানাতেন উল্লেখ করে আরমানি বলেছেন, ‘আমরা যদি কিছু দেখতাম, তবে আমরা তা দিবুকে বলতাম, সে এটা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করত। আমরা দারুণ একটি কার্যকর দল গড়ে তুলেছিলাম। কারণ, আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতাম এবং নিজেরা যা জানি, তা ভাগাভাগি করতাম।’

বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির সঙ্গে আরমানি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

তবে মাঠে নেমে পেনাল্টি শট ঠেকানোর সময় মার্তিনেজ পুরোপুরি স্বাধীনতা নিত উল্লেখ করে আরামানি বলেছেন, ‘মাঠে এ ধরনের মুহূর্তে তার আচরণ সহজাত ছিল। এসব নিয়ে কোনো কিছুই আমাদের বলত না। আমি তাকে ভালোভাবেই সমর্থন করি। সে দারুণ।’

আরও পড়ুন

বিশ্বকাপে খেলোয়াড় ও অধিনায়ক মেসি কেমন ভূমিকা রেখেছেন, তা জানাতে গিয়ে আরমানির কথা, ‘ড্রেসিংরুমের ভেতরে ও বাইরে মেসি একজন অসাধারণ নেতা। তার উদ্দীপনামূলক কথাগুলো মনে পড়ে। সেগুলো আমরা উপভোগ করতাম এবং সুযোগটা গ্রহণ করতাম। কারণ, এমন মুহূর্ত সব সময় আসবে না। সত্যি কথা হচ্ছে, এটা তার চেয়ে বেশি আর কারও প্রাপ্য ছিল না। শুধু এই ট্রফিই তার প্রয়োজন ছিল। প্রতি ম্যাচে সে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে।’