সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন সালাউদ্দিন

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনছবি: শামসুল হক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সম্পর্কে ‘পাবলিক ডোমেনে’ থাকা অসত্য ও মানহানিকর বক্তব্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। প্রচারমাধ্যমে সম্প্রতি তাঁকে জড়িয়ে কিছু প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই এই রিট করেছেন কাজী সালাউদ্দিন নিজেই। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হয়।

আরও পড়ুন

সালাউদ্দিনের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রচারমাধ্যমে আসা তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বক্তব্য অসত্য, মানহানিকর ও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো। এসব বক্তব্যের বিরুদ্ধেই এই রিট। ১৮ জনকে বিবাদী করা হয়েছে রিটে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি ও মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সম্পর্কে ‘পাবলিক ডোমেনে’ থাকা অসত্য ও মানহানিকর বক্তব্য অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

পরে আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্য অপসারণ ও বাদীর মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিতে রিটটি করা হয়েছে। পাশাপাশি কাজী সালাউদ্দিন সম্পর্কে অসত্য ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে বিবাদীদের বিরত রাখতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটের ওপর আজ শুনানি শুরু হয়, কাল শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সংবিধানের ১০২ ও ৪৪ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিজের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে এর আগে স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও একাত্তর টিভির এডিটর ইন চিফসহ ১৭ ব্যক্তি বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান কাজী সালাউদ্দিন। এরপর গতকাল সোমবার ১৮ জনকে বিবাদী করে রিটটি করেন তিনি।

উল্লেখিত ৪ জন ছাড়াও রিটের অন্য ১৪ বিবাদী হলেন একাত্তর টিভির স্পোর্টস ইনচার্জ এহসান মোহাম্মদ, একই টিভির ক্রীড়া সাংবাদিক মেহেদি নাইম, পার্থ বণিক, মাহমুদুল হাসান, অর্নব বাপ্পি, এহতেশাম সবুজ, মাহাদি হাসান, ফাহিম রহমান, রিয়াসাদ আজিম, কহিনুর কনা। দৈনিক যুগান্তরের ক্রীড়া সাংবাদিক মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া সংগঠক শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাফুফের পদত্যাগী সদস্য ও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ হোসেন মুন ও আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

কাজী সালাউদ্দিন সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া থেকে ওই ১৪ বিবাদীকে বিরত রাখতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন।