বার্সেলোনা কি ঠিক করেছে

বার্সেলোনা সভাপতি লাপোর্তা ও পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফিটুইটার

আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশির দায়ে এ মাসের শুরুতে পিএসজিকে ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল উয়েফা। একই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল জুভেন্টাস, ইন্টার মিলানসহ আরও সাতটি ক্লাবকে। সেই তালিকায় বার্সেলোনা ছিল না।

তবে পিএসজি চেয়ারম্যান নাসের আল খেলাইফির ধারণা, নিয়ম ভঙ্গ করেছে বার্সাও। এ বছর রবার্ট লেভানডফস্কি, রাফিনিয়া ও জুলেস কুন্দের জন্য ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করেছে বার্সেলোনা। এ ছাড়া আরও পাঁচজনকে দলে ভিড়িয়েছে বিনা মূল্যে।

আরও পড়ুন

উয়েফা প্রণীত আর্থিক সংগতি নীতি অনুসারে বার্সেলোনার এবার এত টাকা খরচ করার সুযোগ ছিল না। কিন্তু খেলোয়াড় কেনার অর্থ জোগাড়ে ক্লাবের কিছু সম্পদ বিক্রি করে দেয় কাতালান ক্লাবটি।

এর মধ্যে ছিল লা লিগার টেলিভিশন স্বত্বের ২৫ শতাংশ ও নিজস্ব প্রোডাকশন কোম্পানি বার্সা স্টুডিওর ৪৯ শতাংশ শেয়ার।

এই দুটি বিক্রির মাধ্যমে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি আয় করে বার্সেলোনা। সেই অর্থকে আয় দেখিয়ে কেনা হয় লেভানডফস্কিদের। বার্সেলোনার এই বেচাকেনাকে অনুমোদনও দেয় লা লিগা কর্তৃপক্ষ।

তবে পিএসজি প্রেসিডেন্ট বিষয়টিকে দেখছেন ভিন্নভাবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার খেলোয়াড় ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নাসের, ‘এটা কি ওরা ঠিক করেছে? না, ঠিক করেনি। এটা কি বৈধ ছিল? আমি নিশ্চিত নই।’

পিএসজি প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান, উয়েফা নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান বিইন মিডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও আছেন নাসের।

বার্সেলোনার খেলোয়াড় কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর অবশ্য কূটনৈতিক ভাষায় উয়েফার কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন তিনি, ‘বার্সেলোনাকে এই পদ্ধতি অবলম্বনের সুযোগ দিলে বাকিরাও পরে একই কাজ করবে। উয়েফার নিজস্ব নীতি আছে, তারা নিশ্চয়ই এ বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখবে।’

এর আগে গত শুক্রবার ইউরোপিয়ান ক্লাবপ্রধানদের বৈঠকেও পরোক্ষভাবে বার্সেলোনার সমালোচনা করেছিলেন নাসের।

আরও পড়ুন

এখনো এক বিলিয়ন ইউরোর বেশি ঋণের দায় টানা বার্সেলোনাকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, ‘নতুন আর্থিক টেকসই নীতি ভালো। তবে সতর্ক থাকতে হবে। বিপজ্জনক পর্যায়ের ঋণ আর জাদুকরি সাম্য নিয়ে আসা লেনদেন টেকসই কোনো পথ নয়।’