রদ্রিগোর জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ

কোপা দেল রে শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের। কোচ কার্লো আনচেলত্তিও আছেনছবি: রয়টার্স

ফাইনালের একাদশেই চমকে দিয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে হারের ম্যাচের দলে পাঁচ পরিবর্তন। তাতে একাদশটা যা দাঁড়াল সেখানেও ইতিহাসে। দানি কারবাহল বাদে বাকি ১০জনই স্পেনের বাইরের!

কোপা দেল রে-র ১২০ বছরের ইতিহাসে ফাইনালে এমন একাদশ গড়া প্রথম দল রিয়াল এবং আনচেলত্তি তাতে সফল। রদ্রিগোর জোড়া গোলে ওসাসুনাকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের ২০তম কোপা দেল রে শিরোপা জিতেছে রিয়াল।

লুকা মদরিচকে বেঞ্চে বসিয়েও চমকে দিয়েছেন আনচেলত্তি। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল, ছোটখাটো চোট থাকায় বোঝাই যাচ্ছিল ক্রোয়াট তারকাকে নামালে বিরতির পর। ৮২ মিনিটে টনি ক্রুসের বদলি হয়ে মদরিচ যখন নামালেন রিয়াল তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে। আর তা দুই ব্রাজিলিয়ানের যৌথ প্রযোজনায়।

জোড়া গোল করেন রদ্রিগো। দ্বিতীয় গোলের পর
ছবি: রয়টার্স

সেভিয়ার এস্তাদিও দি অলিম্পিকো মাঠের গ্যালারিতে সবাই ঠিকমতো ধাতস্ত হওয়ার আগেই গোল! ১ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের মাথায় রদ্রিগোর করা গোলের উৎস ভিনিসিয়ুস। বাঁ উইংয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাইলান ধরে ঢুকে বক্সে সুবিধাজনক জায়গায় দাঁড়ানো রদ্রিগোকে পাস দেন ভিনি।

ঠান্ডা মাথায় কোপা দেল রে ফাইনালে রিয়ালের হয়ে গত ৭৭ বছরের মধ্যে দ্রুততম গোল করেন রদ্রিগো। ব্রাজিলিয়ান তারকার পরের গোলেও আছে তাঁর জাতীয় দল সতীর্থের অবদান। ৭০ মিনিটে আবারও বাঁ প্রান্ত দিয়ে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ঢুকে পড়েন ভিনি। তাঁর ক্রস ওসাসুনা ডিফেন্ডারদের পায়ে লাগলে শট নেন ক্রুস। এবারও এক ডিফেন্ডারের পায়ে লাগে এবং বল পেয়ে যান রদ্রিগো। কাছ থেকে গোল করতে ভুল হয়নি তাঁর।

রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর ওসাসুনাও বুক চিতিয়ে লড়েছে। ২৬ মিনিটে গোল লাইনের একটু সামনে থেকে ওসাসুনার এজালজৌলির শট ফেরান রিয়াল ডিফেন্ডার কারবাহল। তার এক মিনিট আগেই প্রতি আক্রমণ থেকে করিম বেনজেমার জোরাল শট ঠেকান ওসাসুনা গোলকিপার সের্হিও এরেরা। ভাগ্য সহায় হলে রিয়াল বিরতির আগেই আরও একটি গোল পেয়ে যেত। ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে ডেভিড আলাবা একটুর জন্য গোল পাননি। বল ক্রসবারে লেগেছে।

বিরতির পর ৫৮ মিনিটে লুকাস তোরোর দুরপাল্লার শটে করা গোলে সমতায় ফেরে ওসাসুনা। কিন্তু দলটির বক্সে রিয়ালের খেলোয়াড়দের চাপসৃষ্টি দেখে বোঝা যাচ্ছিল ওসাসুনা বেশিক্ষণ সমতায় থাকতে পারবে না। রদ্রিগোর গোলটি সেই চাপেরই ফসল। আর তাতে ২০১৪ সালের পর প্রথম কোপা দেল জয় নিশ্চিত হয়ে যায় রিয়ালের।