শিরোপা জিতেই কানকে বহিষ্কার বায়ার্নের

ছবি: রয়টার্স

বায়ার্ন মিউনিখের অনেক আনন্দের দিনে ক্লাবটির কিংবদন্তি অলিভার কান পেলেন একটি দুঃসংবাদ। একই সঙ্গে দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে হাসান সালিহামিদিচকেও। বুন্দেসলিগার শেষ রাউন্ডে আজ কোলনকে ২–১ গোলে হারিয়ে টানা ১১ মৌসুমের মতো শিরোপা জিতেছে বায়ার্ন।

শিরোপা জয়ের খানিক পরই প্রধান নির্বাহী কান ও ক্রীড়া পরিচালক সালিহামিদিচকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছে মিউনিখের ক্লাবটি।

কোলনের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে শিরোপা ধরে রাখার পর বায়ার্নের সভাপতি হার্বার্ট হেইনার মিক্সড জোনে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা ক্লাবের তদারকি বোর্ড নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেটা আপনারা হয়তো এরই মধ্যে শুনেছেন।’

বায়ার্ন লিগের শেষ রাউন্ডটা খেলতে নেমেছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের চেয়ে পিছিয়ে থেকে। তারা কোলনের বিপক্ষে ম্যাচটি জিতলেও টানা ১০ মৌসুম পর বুন্দেসলিগার শিরোপা হারাতে পারত, যদি ডর্টমুন্ড মাইনৎসের বিপক্ষে জিতে যেত। আর বায়ার্ন হারলে নিজেরা হারলেও শিরোপা জিতত ডর্টমুন্ড। আর বায়ার্ন যদি ড্র করত, তাহলে মাইনৎসের সঙ্গে ২–২ গোলের ড্রই ডর্টমুন্ডের শিরোপা জয়ের জন্য যথেষ্ট হতো।

এমন সমীকরণ নিয়ে খেলতে নেমে ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার্ন। আর ডর্টমুন্ড তাদের ম্যাচে ২৪ মিনিটের মধ্যে ২–০ তে পিছিয়ে যায়। এমন অবস্থায় বিরতিতে যায় বায়ার্ন। কিন্তু সেই সময়েও সালহামিদিচের মুখে হাসি ছিল না। হয়তো তিনি আগেই জেনে গিয়েছিলেন নিজের ভাগ্য।

৮১ মিনিটে সমতায় ফিরেছিল কোলন। কিন্তু ৮৯ মিনিটে জামাল মুসিয়ালার গোলে ২–১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন। শেষ মুহূর্তের গোলে বায়ার্নকে শিরোপা জেতানো মুসিয়ালাকে চেলসি থেকে দলে টেনেছিলেন সালিহামিদিচ।