এটা কেবলই সফলতার শুরু, বললেন সালাউদ্দিন

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনফাইল ছবি: প্রথম আলো

কাঠমান্ডু থেকে ঢাকা আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি সাফজয়ী নারী দলের। তবে ছাদখোলা বাসে অভিনন্দনে সিক্ত হতে হতে বিমানবন্দর থেকে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে যেতে সাবিনা-কৃষ্ণাদের দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা গড়িয়ে রাতই হয়ে গেল।

এমন দিনে অবশ্য সময়ের হিসাব কে রাখে! আনন্দ-উৎসবই সবকিছুই যে ভুলিয়ে দিয়েছে। এর আগে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ভিড়ের কারণে তা হয়নি। বাফুফে ভবনে তাই উৎসব থামিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে হলো বিজয়ী দলের সদস্যদের।

আরও পড়ুন

অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনও। বলেছেন, সাফল্যের পথে যাত্রাটা কেবলই শুরু হলো। সবার সমর্থন নিয়ে আরও অনেক দূর যেতে চান তিনি।

২০০৩ সালে পুরুষদের সাফ জয়ের পর ফুটবলে বড় সাফল্যের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। আরেকটি সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করতে হলো দীর্ঘ ১৯ বছর।

আরও পড়ুন

অবশেষে নারীদের হাত ধরে নবজন্ম পেল দেশের ফুটবল। তবে এটা কেবলই শুরু বলে মনে করেন সালাউদ্দিন। সামনে এগিয়ে যেতে সবাইকে সঙ্গে চান তিনি, ‘বাংলাদেশ ফুটবলকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে এভাবেই আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন। আপনারা সবাই জানেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন খেলাপ্রেমী মানুষ, ক্রীড়ামন্ত্রীও তাই। এটা কেবলই সফলতার শুরু। আমরা যদি একসঙ্গে থাকি, তবে আমরা এই ধরনের আরও অনেক সফলতা দেখতে পাব। আমার সবার সমর্থন প্রয়োজন। আপনারা সবাই যে কষ্ট করেছেন, আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’

এর আগে নিজের বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে ধন্যবাদ দেন সালাউদ্দিন।

শিরোপাজয়ী দলকে কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় সাংবাদিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘সবাইকে সালাম এবং ধন্যবাদ এখানে আসার জন্য। আমি দুটি কথা এখানে বলতে চাই। প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল দলের এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিতে হয় খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টের। আজকের এই প্রাপ্তিটা তাদের হাত ধরে এসেছে। সে সঙ্গে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদেরও। আপনাদের ইতিবাচক ভূমিকার কারণেই সমুদ্রের মতো মানুষের ঢল নেমেছে।’

আরও পড়ুন

মেয়েদের এ সাফল্যের জন্য খেলোয়াড়, কোচসহ দেশের মানুষকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন সালাউদ্দিন।

উন্নত দেশ ও দল গড়তে ভবিষ্যতেও এমন একতা প্রত্যাশা করছেন তিনি, ‘দেশের ফুটবলকে দাঁড় করাতে হলে খেলোয়াড়, কোচ, সরকারের সমর্থন, মানুষের সমর্থন এবং মিডিয়ার সমর্থন প্রয়োজন। এই পাঁচটি জিনিসকে এক করতে পারলেই বিজয়ী দল গড়ে তোলা সম্ভব। আজ আমরা বিজয়ী জাতি। এ ক্ষেত্রে সরকার থেকে শুরু করে, খেলোয়াড়, কোচরা, আমরা অফিসে যারা আছি এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া একসঙ্গে হওয়াতেই আমরা সফল হয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের একটি উন্নত দেশ এবং উন্নত দল গড়তে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’