ব্রাজিলের ক্লাবকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আবার ব্রাজিলের ক্লাবই পেল চেলসি

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোালে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেলসি। সেমিফাইনালেও তাদের প্রতিপক্ষ আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স।

চেলসির উদ্‌যাপন।রয়টার্স

অবশেষে চেলসির কাছে হেরে থামল ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসের যাত্রা। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে টপকে গ্রুপসেরা, এরপর শেষ ষোলোয় স্বদেশি বোতাফোগোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। ধারণা করা হচ্ছিল, শেষ আটেও চেলসিকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে ব্রাজিলিয়ান শীর্ষ লিগের সফলতম ক্লাবটি। সেটি তারা করেছেও, কিন্তু জিততে পারেনি।

আজ সকালে ফিলাডেলফিয়ায় পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি। শুরুতে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮২ মিনিট পর্যন্ত সমতা ধরে রেখেছিল পালমেইরাস। তবে আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়েছে ক্লাবটির। সেমিফাইনালে চেলসি মুখোমুখি হবে আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের।

এর আগে ২০২২ সালের ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি ও পালমেইরাস। সেই ম্যাচেও চেলসি জিতেছিল ২-১ গোলে। আজ সেই একই ফলেরই পুনরাবৃত্তি হলো। পাশাপাশি এর মধ্যে দিয়ে অফিশিয়াল ক্লাব প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি লড়াইয়েও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর সঙ্গে সমতা ফেরাল ইংলিশ ক্লাবগুলো। দুই দেশের ক্লাবগুলোর মধ্যে হওয়া ১০ ম্যাচে ৫টিতে জিতেছে ব্রাজিল এবং অন্য ৫টিতে ইংল্যান্ড।

আরও পড়ুন

লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডের এই ম্যাচে শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দিয়োগো জোতা এবং তাঁর ভাই আন্দ্রে সিলভাকে। এ সময় জোতা ও আন্দ্রের নাম লেখা বিশেষ জার্সি নিয়ে মাঠে আসেন চেলসির পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড পেদ্রো নেতো।

সেমিফাইনালে ওঠার এই লড়াইয়ে চেলসির দাপট ছিল একচ্ছত্র। ৬৩ শতাংশ বলের দখল রেখে ১৯ শট নিয়ে ৬টি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে পালমেইরাস ৩৭ শতাংশ বলের দখল রাখলেও ৭টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে মাত্র ২টি। পালমেইরাসে এই ম্যাচে মূলত প্রতি-আক্রমণনির্ভর ফুটবলই খেলেছে। তবে আক্রমণে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচজুড়ে দারুণভাবে রক্ষণ সামলেছে তারা। যদিও শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেনি ক্লাবটি।

পালমেইরাসের খেলোয়াড়দের হতাশা
রয়টার্স

এদিন ম্যাচের ১৬ মিনিটেই দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে চেলসিকে এগিয়ে দেন কোল পালমার। ট্রেভো চ্যালোবার কাছ থেকে বল পেয়ে লেগে থাকা ডিফেন্ডারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এই ইংলিশ তারকা। এগিয়ে গিয়ে দাপট ধরে রাখলেও বিরতির আগে আর কোনো গোল পায়নি চেলসি।

বিরতির পর চেলসিকে চমকে দিয়ে পালমেইরাসকে সমতায় ফেরান এস্তেভাও। ৫৩ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে অসাধারণ এক শটে গোল করেন আগামী মৌসুমে চেলসিতেই খেলতে যাওয়া এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সমতায় ফিরে চেলসির একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়েছে পালমেইরাস।

আরও পড়ুন

তবে ৮৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে পালমেইরাসের সর্বনাশ ডেকে আনেন অগাস্তিন গিয়াই। মালো গুস্তোর শট ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান গিয়াই। এই গোলই শেষ পর্যন্ত পালমেইরাসের হতাশার কারণ হয়েছে এবং চেলসিকে নিয়ে গেছে ফাইনালের দুয়ারে।