অন্ধ ছেলেটির জীবন পাল্টে দিলেন মেসি

জীবন পাল্টে দেওয়ায় লিওনেল মেসির জুড়ি মেলা ভার।

স্রেফ মাঠের খেলা দিয়েই অনেক ভক্তের জীবন পাল্টেছেন মেসি। তাঁর খেলা দেখে ফুটবল নিয়ে চিন্তার জগৎটাই বদলে গেছে অনেক ফুটবলপ্রেমীর। এর পাশাপাশি জনসেবামূলক কাজ তো আছেই। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সাধ্যমতো দান করছেন আর্জেন্টাইন তারকা। দেশের হাসপাতালে দিয়েছেন বড় অঙ্কের অনুদান। এ ছাড়াও নানারকম দাতব্য কাজ তো করছেন নিয়মিতই। মেসির এবার ঠিক তেমনই এক পদক্ষেপ জীবন বদলে দিল ১০ বছর বয়সী এক আর্সেনাল ভক্ত মাইকি পুলির।

মাত্র ৬ বছর বয়সে চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেন পুলি। তবে স্বপ্ন দেখা ছাড়েনি এই খুদে, অন্ধ হলেও সে কিন্তু ফুটবলার। এই খুদেকে নিজের ‘ড্রিম টিম’-এ নিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনা তারকা এ দল বানিয়েছেন লড়াই করতে। না, মাঠের ফুটবল লড়াই নয়, এ লড়াই অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি ফেরানোর। এ জন্য ইসরাইলি এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মেসি। বিশ্বজুড়ে অন্ধরা যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন তা যথাসম্ভব কমিয়ে আনাই লক্ষ্য এই প্রকল্পের। ওরক্যাম টেকনোলজিস নামের এ প্রতিষ্ঠান অন্ধদের জন্য বিশেষ চশমা প্রস্তুত করেছে। প্রতি বছর মেসি এই চশমা দেবেন অন্ধদের, যাঁরা দেখতে না পাওয়া বাধা মেনে নিয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এদের কেউ কেউ আবার বার্সেলোনায় মেসির সঙ্গে দেখা করার সুযোগও পাবেন। মেসি এই প্রতিষ্ঠানের দূত।

ওরক্যামকে সঙ্গে নিয়ে অন্ধ শিশুদের পাশে মেসি।
ছবি: টুইটার

পুলিসহ মোট ১২ খুদে মেসির ‘ড্রিম টিম’-এর এই সেবা পাবে। ছয় বছর বয়নে ‘রড কন ডিস্ট্রোফি’ রোগের জন্য চোখের দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেন পুলি। ‘ওরক্যাম মাই আই’ চশমা তাকে লেখা, বিভিন্ন বস্তু এবং লোকের কথা বুঝতে সাহায্য করবে। উত্তর লন্ডনের ছেলে পুলি এখন ইংল্যান্ডে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দলের সঙ্গে আছে। ইংল্যান্ড থেকে শুধু পুলিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। তার মতো প্রেরণাদায়ক কাজ করে চলা আরও কিছু দৃষ্টিশক্তি হারানোদের বেছে নেওয়া হয়েছে উরুগুয়ে, ব্রাজিল, স্পেন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও জাপান থেকে।

করোনা মহামারির জন্য এখনো মেসির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি পুলি। তবে মেসির সঙ্গে দেখা হলে কী বলবেন তা আগেই ঠিক করে রেখেছেন এই খুদে ফুটবলার, ‘ফুটবল আমার কাছে সবকিছু। আমি এটা খেলতে ভালোবাসি। মেসির সঙ্গে দেখা হলে তাকে বলবে আর্সেনালে একদিনের জন্য খেলতে পারি কি না। এটা খুব ভালো হয়।’ নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এ নিয়ে মেসির পোস্ট, ‘অন্ধ ও দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় থাকা মানুষদের সাহায্য করতে পেরে গর্ব লাগছে।’

করোনা মহামারি শুরুর আগে বার্সেলোনায় ১২জন দৃষ্টিশক্তি হারানো কিংবা সমস্যায় থাকাদের বাছাই করেন মেসি। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে প্রযুক্তিটি তাদের জীবন বদলে দেবে।’এই বিশেষ চশমার দাম ৪২০০ পাউন্ড।