অবশেষে শুলসারের কাছে না হেরে ফিরলেন ল্যাম্পার্ড

এই মুহূর্তটাই ড্র নিয়ে ফিরতে দিল চেলসিকে।ছবি: রয়টার্স

৯০ মিনিটে  বাঁকানো এক শট নিয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটটি দেখে নির্ঘাত চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের মনে কুডাক দিচ্ছিল। হয়তো ভাবছিলেন, আবার বুঝি হারলাম!। কিন্তু কেন তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে কেনা হয়েছে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন এদুয়ার্দ মেন্দি। ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে রক্ষা করলেন এই গোলরক্ষক। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসির ম্যাচটা গোলশূন্য ড্রতেই শেষ হলো।

শুধু শেষ মুহূর্তেই নয়, এর আগেও রাশফোর্ডের আরেক গোলা ঠেকিয়েছেন মেন্দি। প্রথমার্ধে হুয়ান মাতাকেও গোলবঞ্চিত করেছেন এই গোলরক্ষক। তবে ইউনাইটেডও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে খুশি হবে। নিজেদের বক্সে সেজার আজপিলেকুয়েতাকে যেভাবে দুহাত দিয়ে আটকেছেন হ্যারি ম্যাগুয়ার, তাতে পেনাল্টি চাইলেই দিতে পারতেন রেফারি। ওদিকে রাশফোর্ডকে বক্সে ফাউল করেও বেঁচে গিয়েছেন চেলসির থিয়াগো সিলভা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো দলই গোল করতে পারেনি আজ।

ল্যাম্পার্ড অবশ্য এতেও সন্তুষ্ট থাকতে পারেন। এই ড্রয়ে তাঁর দল লিগে ষষ্ঠ অবস্থানে আছে। আর এই প্রথম ওলে গুনার সুলশারের ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নেমে না হেরে মাঠ ছাড়ার স্বস্তি তো আছেই। গত মৌসুমে তাঁর চেলসি ক্যারিয়ারই শুরু হয়েছিল ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৪-০ গোলের হার দিয়ে। লিগে ঘরের মাঠে পরের ম্যাচেও হেরেছিলেন ল্যাম্পার্ড। লিগ কাপেও সুলশারের সঙ্গে পেরে ওঠা হয়নি তাঁর। হেরে বসেছিলেন ২-১ গোলে। গোলশূন্য ড্র করে অন্তত হার এড়াতে পেরেই তাই খুশি হওয়ার কথা এই কোচের।

চেলসির আজকের এ ড্রয়ের কৃতিত্ব মেন্দিই পাচ্ছেন। কারণ, তাঁর উপস্থিতিই বাড়তি ভরসা দিয়েছে দলকে। ম্যাচে তাঁর তিনটি সেভই হয়তো আজ চেলসিকে হার থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। পিওতর চেকের পর এই প্রথম কোনো চেলসি গোলরক্ষক অভিষেকের পর টানা দুই ম্যাচে কোনো গোল খাননি। তবে পায়ের কাজ দেখাতে গিয়ে বড় এক গুবলেট পাকিয়ে ফেলেছিলেন এই গোলরক্ষক। কেপা আরিসাবালাগার হাস্যকর সব ভুলের কারণেই মেন্দিকে নিয়ে নিয়ে এসেছে চেলসি। কিন্তু আজ একটুর জন্য নিজের পোস্টে গোল দিতে বসেছিলেন সেনেগালের গোলরক্ষক। নিজের ভুলটা ভাগ্যিস শুধরে নিতে পেরেছিলেন সময়মতো।

এবার আর সুলশারের কাছে হারেননি ল্যাম্পার্ড।
ছবি: রয়টার্স

ম্যাচের শেষ দিকে টানা আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি ইউনাইটেড। আজই দলটির হয়ে অভিষেক হলো এদিনসন কাভানির। নিজের প্রথম স্পর্শেই প্রায় গোল করে বসেছিলেন। কিন্তু তাঁর সব চেলসি ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে ফিরে আসে।